‘রিসাইক্লিং সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে’

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেছেন, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে নিত্য ব্যবহার্য জিনিসের পুনরায় ব্যবহার করার একটি অভ্যাস রয়েছে। সময় এসেছে এই রিসাইক্লিং বিষয়টিকে আরও জোরদার করার।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মিরপুরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত নারীর ক্ষমতায়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহীন আনাম বলেন, ভবিষ্যতে প্লাস্টিক একটি বড় হুমকি হয়ে দেখা দেবে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ প্লাস্টিক-পলিথিনের ব্যবহার সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু তার যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা যারা ব্যবহারকারী, তাদেরকেই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, যেসব জ্বালানি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, সেসব পরিহার করে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। শুধু পরিবেশের জন্যই নয়, জীবাশ্ম জ্বালানি নারীর স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। সরকার এরই মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর জন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
‘তবে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় অনেক গ্যাপ রয়েছে। এই নীতিমালা জেন্ডার লেন্স দিয়ে রিভিউ করে পরিবর্তন আনতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নীতিমালায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।’
আলোচনা সভায় এমজেএফের পরিচালক (প্রকল্প) বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য নারীর ওপর বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা পর্যায়ে যেমন কাজ করতে হবে তেমনি তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে।
‘নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দিলে তারা জ্বালানির রূপান্তর প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। এতে একদিকে যেমন জেন্ডার সমতা নিশ্চিত হবে তেমনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের সুহা তাবিল, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের আবুল কালাম আজাদ, এথিক্যাল ট্রেইনিং ইনিশিয়েটিভের মুনীর উদ্দিন শামীম, জিএসসিসির ফারাহ আনজুমসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি এবং ‘উই’ নেটওয়ার্কের সদস্যরা।
ওএফএ/এমএ