অচল গার্মেন্টসকে সচল দেখিয়ে ২ কোটি টাকা লোপাট
অচল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানকে সচল দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে ব্যাংকের এক কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণের নামে আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার আসামিরা হলেন, মেসার্স সার্ক গার্মেন্টস এক্সসেসরিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক এস এম কবির, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মির্জা তৈয়বুর রহমান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ছাইদুর রহমান, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আফতাব উদ্দিন আহমেদ, কে এম মইন উদ্দিন, মো. নুরুল ইসলাম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হারুন উর রশিদ খান ও ইউনিক সার্ভে সার্ভিস ব্যুরোর সার্ভেয়ার মো. মশাররফ হোসেন দোলন।
জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অচল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানকে সচল গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ দেখিয়ে ও ১৪ শতক বন্ধকীকৃত জমির অতিমূল্যায়ন করে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সিসি ঋণের লিমিট বৃদ্ধি করে এবং প্রতিষ্ঠান চালু না থাকা সত্ত্বেও চালু দেখিয়ে আসামিরা বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে ব্যাংকের মোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ সূত্রে আরও জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, মেসার্স সার্ক গার্মেন্টস এক্সেসরিজের নামীয় প্রতিষ্ঠানটি চারতলা রেডিমেইড গার্মেন্টসের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ পণ্য ইন্টারলাইনিং উৎপাদন করার জন্য ঋণের নাটক সাজিয়ে ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, আশুগঞ্জ শাখা থেকে এক কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়।
অনুসন্ধানে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ পণ্যের স্থানীয় কাঁচামাল কোথায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং টাকা কীভাবে পরিশোধ করা হয়েছে, সে সংক্রান্তে কোনো রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি।
আরএম/কেএ
