উপজেলা ভোটে লাখ টাকা জামানতের বিধি সংশোধন চায় মুক্তিজোট

সদ্য সংশোধন হওয়া উপজেলা নির্বাচন বিধি আবারও সংশোধন চায় ‘ছড়ি’ প্রতীকের বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। দলটি উপজেলা নির্বাচনে জামানত বৃদ্ধির আইন পুনরায় সংশোধন করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি দিয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলটির প্রধান (সভাপতি) আবু লায়েস মুন্না নিজে এসে চিঠি দিয়ে যান।
চিঠির বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি জানান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), যার নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন নং ৪১ ও প্রতীক ‘ছড়ি’। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছড়ি প্রতীকে ৬৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত ১৯ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সংশোধিত বিধিমালার (উপজেলা পরিষদ আইন) গেজেট প্রকাশিত হয়। যেখানে বিধি ১৬ এর উপবিধি ১ এ উল্লেখ করা হয়- উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ লাখ টাকা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা জামানত ধার্য করা হয়েছে।
আবু লায়েস মুন্না জানান, মুক্তিজোটের বিবেচনায় গেজেটে নির্ধারিত জামানত কোনোভাবেই আমাদের দেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়। যেখানে সদ্য শেষ হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত ছিল ২০ হাজার টাকা, সেখানে কীভাবে কোন বিবেচনায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা জামানত করা হল। এটা কি দেশকে বিরাজনীতিকরণেরই আরেক কৌশল।
এজন্য উপজেলা নির্বাচনের সংশোধিত বিধি পুনরায় সংশোধন করে দেশকে বিরাজনীতিকরণের হাত থেকে রক্ষার দাবি করছে মুক্তিজোট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার উপজেলা নির্বাচনের সংশোধিত বিধি পুনরায় সংশোধন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
এসআর/জেডএস