‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাবে পরিণত করা হবে’

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাবে পরিণত করার হবে উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাবে পরিণত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন শেষে যাত্রীদের জন্য নবনির্মিত লাউঞ্জ উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাগর-পাহাড় আর দ্বীপের সৌন্দর্যের আকর্ষণে ছুটে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি এর দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ফুট করা ও এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলমান। এই বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার পর তা আঞ্চলিক এভিয়েশন হাবে পরিণত হলে নেপাল, ভুটান ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হবে কক্সবাজার।
মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে ও স্বস্তির পরিবেশ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা। বর্তমানে দেশের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি যাত্রীসেবার মানোন্নয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তার অংশ হিসেবেই আজকের এই যাত্রী লাউঞ্জ উদ্বোধন করা হলো। যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন এই লাউঞ্জ নির্মাণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
এআর/জেডএস