আ.লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় চিকিৎসককে মারধর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মধ্য রাতে পটিয়া পৌর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম রফিক হাসান (৪৬)।
এর আগে গত বুধবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তিম দাশ (২৯) ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ওই চিকিৎসককে মেরে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দিন রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক এস এইচ খাদেমী প্রকাশ বাহাদুর বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোহাম্মদ মুকুল, মোহাম্মদ টিপু ও পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সৈয়দসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০ মিনিটিরে দিকে সাইফুল্লাহ পলাশ (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশ আহত সাইফুল্লাহ পলাশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য অপারেশন রুমে নিয়ে যান। অপারেশন রুমে যেতে দেরি হওয়ায় ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই মারধর করা হয় এবং সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করে রফিক হাসান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করেন রোগীর স্বজনরা। গুরুতর আহত চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। এরপর থেকে এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন ওই চিকিৎসক।
আরএমএন/এসকেডি