২০ রমজানের মধ্যে ঈদ বোনাসসহ বেতন-ভাতা চান পর্যটন শ্রমিকরা

২০ রমজানের মধ্যে পর্যটন শ্রমিকদের পূর্ণ ঈদ বোনাসসহ বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং কর্মহীন শ্রমিকদের তালিকা অনুসারে খাদ্য ও নগদ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স-এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিটি যৌথভাবে পাঠান বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স-এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের আহ্বায়ক রাশেদুর রহমান রাশেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারহানা ইয়াসমিন, সাহিদুল ইসলাম, শরীফ আহমেদ, মহিউদ্দিন রিমেল, খালেকুজ্জামান লিপন এবং সদস্য সচিব আহসান হাবিব বুলবুল।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন খাত। আর পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারী মালিকদের আত্মস্বার্থ ও দায়িত্বহীন আচরণে অভাবনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এই খাতে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার সরকারি প্রতিষ্ঠান ডিআইএফই এর কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার সুযোগ নিয়ে গত বছর হোটেল-মোটেল-রেস্ট হাউজ-রেস্তোরাঁর মালিকরা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটির সময় শ্রমিকদের কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ বা ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তাৎক্ষণিক চাকুরিচ্যুত অথবা বিনা বেতনে ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছিল। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাবদ কোনো অর্থ পরিশোধ করেননি। যার ফলে পর্যটন শ্রমিকদের সপরিবারে প্রায় অর্ধাহার-অনাহারে জীবনযাপন করতে হয়েছে। পর্যটন সেবার দক্ষ অনেক কর্মী পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। যা বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশে পর্যটন খাতের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এতে আরও বলা হয়, পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত কিছু সুযোগ সন্ধানী মালিক আগের বছরের মতোই এ বছরও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে। সরকারও লকডাউনে উপার্জনহীন হয়ে পড়া পর্যটন শ্রমিকদের কোনো সহায়তা প্রদান করেনি। যা পর্যটন খাতে কর্মরত ৪০ লাখ শ্রমিক এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যসহ প্রায় দেড় কোটি মানুষকে শুধু চরম অনিশ্চয়তা এবং অসহায়ত্বের মধ্যেই ঠেলে দিচ্ছে না, তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভেরও জন্ম দিচ্ছে।
বিবৃতিতে দাবি জানিয়ে বলা হয়, আগামী ২০ রমজানের মধ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব খাতের শ্রমিকদের পূর্ণ ঈদ বোনাসসহ বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট মালিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কর্মীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চর্চা দিয়ে কখনও একটি শিল্পের স্থায়ী বিকাশ হবে না। আর সঞ্চিত ক্ষোভের প্রকাশ কোনো পক্ষের জন্যই সুখকর হবে না। পর্যটন খাতের কর্মহীন শ্রমিক-কর্মচারীদের তালিকা সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ সহায়তা প্রদানের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি।
এমএইচএন/এসএসএইচ