মেয়রের উন্নয়ন পরিকল্পনায় আশ্বস্ত হয়েছি : কামরুল ইসলাম
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, মেয়র আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের মধ্যে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ভয়-ভীতি ছিল তা অনেকাংশেই কমে এসেছে। এ উন্নয়ন পরিকল্পনায় তিনটা সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। সুতরাং আমরা মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছি।
রোববার (৫ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘কামরাঙ্গীরচরকে নান্দনিক, বাসযোগ্য ও বুদ্ধিদীপ্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, তারপরও আমি বলব, আমার নামে যে ১০৪ ফুটের সড়ক প্রশস্ত করা হবে তাতে ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেসব জমির মালিকদের সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কামরাঙ্গীরচরের অন্য সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করা যায় কি না সেটা আপনি বিবেচনা করবেন। আমি আশাবাদী, আপনি সহযোগিতা করবেন।
আরও পড়ুন
এসময় কেন কামরাঙ্গীরচরে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার যথার্থতা তুলে ধরে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, একটি বিষয় আপনারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করবেন, আজ নতুন প্রজন্মের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুরাতন ঢাকায় থাকেন না। তারা হয় নতুন ঢাকা নয়তো উত্তরার মতো জায়গায় বসবাস করেন। এর মূল কারণ হলো, পুরাতন ঢাকা বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। কামরাঙ্গীরচরের যে অবস্থা, তাতে সেখানে বাসযোগ্যতা হলো তিন লাখ মানুষের। কিন্তু আপনাদের কথা মতো সেখানে বসবাস করে ২০ লাখ মানুষ। সুতরাং এখনই যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে কামরাঙ্গীরচরও অচিরেই বাসযোগ্যতা হারাবে। সেজন্যই আমাদের এ উন্নয়ন পরিকল্পনা। তবে আমি আপনাদের আবারও আশ্বস্ত করছি, সেখান থেকে কাউকে অন্যায়ভাবে, অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হবে না।
অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচরবাসীর পক্ষে ডিএসসিসির মেয়রের কাছে লিখিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ডিএসসিসির ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এএসএস/এসএসএইচ