জ্বালানির সবুজ রূপান্তরে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ
![জ্বালানির সবুজ রূপান্তরে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024May/nasrul-hamid-20240509021634.jpg)
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানির সবুজ রূপান্তর দ্রুত করতে প্রয়োজন সম্বনিত উদ্যোগ ও বিপুল বিনিয়োগ। ইউরোপসহ উন্নত বিশ্ব নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছে। আমাদেরও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে হবে।
বুধবার (৮ মে) সুইডেন দূতাবাস, সুইডিশ এনার্জি এজেন্সি ও সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আরএমজি সেক্টরে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সুইডেন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের বিষয়ে পলিসি সংলাপ-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে সমন্বয় করে আমরাও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। নেট মিটারিং সিস্টেম, রুফটপ সোলার, জলবিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসার পরিষ্কার বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পোষাক শিল্পসহ অন্যান্য কারখানায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিতে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে একটি ‘কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট’ কাঠামো তৈরি করেছে। শিগগিরই সিপিপিএর সাথে কয়েকটি কারখানার পাইলট করার পরিকল্পনা রয়েছে। সিপিপিএ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সার্বক্ষণিক ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এজন্য উচ্চ ক্ষমতার স্টোরেজ প্রয়োজন। অবশ্যই, স্টোরেজের জন্য বিদ্যুৎ বাবদ খরচ বাড়বে ও স্মার্ট গ্রিডে যেতে হবে। এই অতিরিক্ত খরচ ও প্রযুক্তি ব্যয় নিয়েও পলিসি থাকা উচিত।
নসরুল হামিদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন ইউরোপীয় এজেন্ডা বা গ্লোবাল এজেন্ডা নয়, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদেরও টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ রূপান্তরের সাথেই থাকতে হবে। ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কা যেমন দক্ষতা, স্বয়ংক্রিয়তা, ব্যবসায়িক পরিবেশের ওপর ফোকাস করছে, ব্যবসা করছে.. টিকে থাকতে হলে আমাদেরও আরও দক্ষতার সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে।
ওএফএ/কেএ