রেমাল: জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করছে রেড ক্রিসেন্টের ২ হাজার কর্মী

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ও জরুরি সহায়তায় সরকারের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবীর চৌধুরী।

রোববার (২৬ এপ্রিল) ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারে এক জরুরি বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।

কবীর চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কাজ করতে মাঠে আছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাইকিং করে স্থানীয় জনগণকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সচেতন করছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা।

তিনি বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে করণীয় বিষয়ে স্থানীয়দের অবগত করছেন। টেকনাফ ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন। এছাড়াও সমুদ্রবন্দরগুলোতে বিপদ সংকেত ও সতর্ক বার্তা প্রচারে কাজ করছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা।

রেড ক্রিসেন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষিত ইউনিয়ন ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট টিম (ইউডিআরটি) কমিটির সদস্যদের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রদান করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সরঞ্জামও। উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও তারপলিন, জেরিকেন, স্লিপিং ম্যাট, বালতি, হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী মজুত রেখেছে সোসাইটি, যা প্রয়োজনে বিতরণ করা হবে।

গত সপ্তাহ থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলোতে বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ আট জেলায় (খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা ও ঝালকাঠি) রেড ক্রিসেন্টের আগাম সতর্কতা কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), আইএফআরসির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ পরিস্থিতি বিষয়ে আয়োজিত জরুরি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকরা, আইএফআরসির হেড অব ডেলিগেশন আলবার্টো বোকানেগ্রা ও বিভিন্ন পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধিরা।

টিআই/এসএসএইচ