মিথ্যা পরিচয়ে বেনজীরের বিশ্বভ্রমণ!

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় একের পর এক রিসোর্ট গড়ে উঠছে। বনের গাছ কেটে, খাল ভরাট করে খুলনা ও সাতক্ষীরায় ১৪টি রিসোর্ট (অবকাশকেন্দ্র) গড়ে তোলা হয়েছে। আরও আটটির নির্মাণকাজ চলছে।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
সুন্দরবন ঘিরে একের পর এক রিসোর্ট, চলছে এসি-জেনারেটর
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় সেখানকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের ক্ষতি করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ কিংবা কোনো কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সমকাল
বিশাল চাপে অর্থনীতি, বাজেট চ্যালেঞ্জে
বেশ কিছুদিন ধরেই চাপে রয়েছে অর্থনীতির নানা সূচক। আগামী অর্থবছরের বাজেটে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা, রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, সুদ পরিশোধে বাড়তি খরচ এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারে বকেয়া ভর্তুকি সামলানোর মতো বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
দুই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ঘরে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানাই বাজেটে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ জন্য কমিয়ে আনা হবে বাজেট ঘাটতি। একই উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ঘোষিত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সফল বাস্তবায়নের জন্য সরকারের রাজস্ব নীতিতেও ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
কালবেলা
দেবোত্তর সম্পত্তির ওপর রাস্তা করছেন এমপি জিয়া
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবোত্তর স্টেটের মার্কেট ভেঙে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গোমস্তাপুর উপজেলার শ্রীশ্রী শ্যামরায় দেব বিগ্রহ রহনপুর দেবোত্তর স্টেটের কর্ণধার ক্ষিতীশ চন্দ্র আচারী মহন্ত মহারাজ এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজনও। তারা দেবোত্তর সম্পত্তি সুরক্ষিত রেখে বিকল্প পথে রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান জিয়া ও রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান খান প্রভাব খাটিয়ে দেবোত্তর স্টেটের মহন্তকে কোনোরকম নোটিশ না দিয়ে, গভীর রাতে তাদের লোকজন দিয়ে স্টেটের ২৫ থেকে ৩০টি মার্কেট ঘরের সামনের অংশ ভেঙে রাস্তা সম্প্রসারণের জায়গা ফাঁকা করে দেন। এরপর আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়াই অবৈধভাবে মার্কেট ভেঙে ফাঁকা করা জমির ওপর দিয়ে রাস্তার নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
যুগান্তর
দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য প্রকাশ্যে আসায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। পুলিশের দোর্দণ্ডপ্রতাপ কাজে লাগিয়ে সম্পত্তির পাহাড় গড়লেও পাসপোর্টে আড়াল করেছেন পুলিশ পরিচয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি। সুযোগ থাকার পরও নেননি ‘লাল পাসপোর্ট’।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘এটা ন্যক্কারজনক প্রতারণা ও জালিয়াতি। যারা জালিয়াতিপূর্ণ পাসপোর্ট ইস্যু করেছে, তারাও দায় এড়াতে পারেন না। তারা তো বেনজীর আহমেদকে চেনেন না, এমন নয়। কাজেই দুপক্ষের যোগসাজশেই এটা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন
কালের কণ্ঠ
ভর্তুকির জাল থেকে সরকার বের হতে চাইলেও তা উল্টো বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পাওয়ার শর্তে ভর্তুকি ব্যয় ধাপে ধাপে কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্যের দাম কমলেও আগামী অর্থবছরে এই ব্যয় মেটাতে সরকারকে ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি ভর্তুকি দিতে হবে। কারণ এ খাতে ব্যয় বৃদ্ধি উসকে দিচ্ছে ডলারের উচ্চমূল্য।
বণিক বার্তা
জুনে ব্যাংক খাত থেকে ৬২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে চায় সরকার
অর্থবছরের শেষ মাস। এ মাসেই সরকারকে উন্নয়ন ব্যয়ের বড় একটা অংশ বিল পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু সরকারের কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তাই ব্যাংক থেকে ধার করতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। শুধু চলতি জুনেই ব্যাংক খাত থেকে প্রায় ৬২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে চাইছে সরকার।
সরকারকে স্বল্পমেয়াদি ঋণের জোগান দিতে প্রতি রোববার ট্রেজারি বিলের নিলাম (অকশন) ডাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জোগান দিতে নিলাম ডাকা হয় মঙ্গলবার। চলতি জুনে ট্রেজারি বিলের চারটি নিলামের মাধ্যমে বাজার থেকে ৪৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মানবজমিন
১৬৯৭০ কর্মী নিঃস্ব, সিন্ডিকেটের পকেট ভারী
বাংলাদেশ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো’র (বিএমইটি) ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়ার বেঁধে দেয়া সময়ের ভেতরে যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী। এসব কর্মী কবে যেতে পারবেন নাকি আর যেতে পারবেন না এ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও সিন্ডিকেটরা শ্রমিকদের কাছ থেকে ব্যক্তিভেদে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে নিয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন শ্রমিকদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে অন্যদিকে গরু, জমি, স্বর্ণ বিক্রি ও ঋণ-ধার করা টাকাও গচ্ছা গেছে তাদের। জীবনের শেষ সম্বল এজেন্সি ও দালালদের হাতে তুলে দিয়ে পথে বসে গেছেন অনেকেই। আদৌ তারা এসব টাকা ফেরত পাবেন কিনা তার জবাব দিচ্ছে না মন্ত্রণালয়সহ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো।
এছাড়া পাহাড়েও বেনজীরের থাবা; মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার;—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
