‘নির্বাচন এলে অভিযোগের বাক্স খোলা বিএনপির স্বভাব’

আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেকোন নির্বাচন এলে বিএনপি অভিযোগের বাক্স খুলে বসে। এটা তাদের অভ্যাসগত স্বভাব।
তিনি বলেন, অনেকগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছে। জয়ের আগমুহূর্ত পর্যন্ত নানা অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু যখনই জয়লাভ করেছে তখনই তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের পোর্ট কানেক্টিং সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, জনগণের দৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয়ে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের টেলিভিশন টকশোতে এসব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করতে পারেন না। দেশের উন্নয়ন তারা চোখে দেখতে পান না, চোখ থাকতেও অন্ধ।
শেখ হাসিনা সবসময় চট্টগ্রামের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ জানান, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে এক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প চলমান আছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ব্যাপক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কর্ণফুলিতে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী বছর এটি চালু করতে পারবো। উপমহাদেশের নদীর তলদেশ দিয়ে প্রথম টানেল রোড হবে এটি।
চট্টগ্রামে বে-টার্মিনালের কাজে হাত দেয়া হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এটি নির্মিত হলে আরেকটি নতুন চট্টগ্রাম বন্দর হবে। বর্তমান বন্দরের চেয়েও সেটি অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং অনেক বড় বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম পোর্ট কানেক্টিং রোড নিয়ে গত তিন বছর এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে ছিল। এটি চট্টগ্রামের লাইফ লাইন। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে বাকি বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকার মধ্যে এটি অন্যতম।
এসআরএস
