‘হ্যান্ডসেটে অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক’

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রির ক্ষেত্রে আগের ৫ শতাংশ ভ্যাটের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরো ৫ শতাংশ ভ্যাট। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের পকেট থেকে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা অর্থ আদায় করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এটি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার শামিলও।
সোমবার (১০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ হাজার টাকার একটি হ্যান্ডসেটে গ্রাহককে ভ্যাট দিতে হয় এক থেকে এগারশ টাকা। হ্যান্ডসেট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছ থেকে যে ভ্যাট আদায় করা হয় তার ৫০ শতাংশই অবৈধ। কারণ দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৬ কোটি হ্যান্ডসেটের চাহিদার বিপরীতে অ্যাসেম্বলিং পর্যায়ের উৎপাদন কারখানা ১৭টি মিলিয়ে উৎপাদন করে ২ দশমিক ৫ কোটি। অন্যদিকে বৈধভাবে আমদানি হয় প্রায় ১ দশমিক ৫ কোটি ফোন। অবৈধভাবে চোরাকারবারি এবং গ্রে মার্কেটের হ্যান্ডসেট আমদানি হয় প্রায় ২-৩ কোটি।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষজন অতিরিক্ত ভ্যাট আদায়ের কারণে প্রযুক্তিতে সংযুক্ত হতে পারছে না। হ্যান্ডসেট বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা সম্পূর্ণভাবেই সরকারের নীতির পরিপন্থি। কারণ সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ২০৪১ সালের মধ্যে সবাইকে ইন্টারনেট সংযুক্তির মধ্যে আনা। আর তার জন্য প্রথমে প্রয়োজন একটি হ্যান্ডসেট এবং ইন্টারনেট। তাই মোবাইল ফোন বিক্রির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিল করার দাবিও জানান তিনি।
একইসঙ্গে অবৈধ ফোন বিক্রির সময় যেন গ্রাহককে কোনোভাবেই ভ্যাট দিতে না হয় সে ব্যাপারেও সরকারের নীতি কার্যকর করার দাবিও জানান তারা।
আরএইচটি/জেডএস