ক্রেতা পরেননি মাস্ক, জরিমানা গুনলেন বিক্রেতা

রাজধানীর নিউমার্কেটের ৪ নম্বর গেট সংলগ্ন অমিত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি কাপড়ের দোকানে চলছে ঈদের কেনাকাটা। কিন্তু ভেতরে থাকা এক ক্রেতা ও একজন সেলসম্যান মুখে পরেননি মাস্ক।
দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দোকানে প্রবেশ করেন। পরে ক্রেতা ও কর্মচারীর মুখে মাস্ক না থাকায় দোকানিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকানে দোকানে গিয়ে এভাবেই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করেন ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা.সঞ্জীব দাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিউমার্কেট এলাকায় অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন তাদের সংখ্যা খুবই কম। অন্যদিকে যারা মাস্ক পরে বের হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশের মাস্ক থুতনির নিচে। এছাড়া ৩ ফুট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রবণতাও কারো মধ্যে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন : মুখের মাস্ক হাতে-থুতনিতে : ১৭ জনকে জরিমানা
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব দাসের নেতৃত্বে একটি টিম নিউ মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন না করায় অনেককেই জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে যারা মাস্ক পরেননি কিংবা মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে রেখেছেন তাদের বিভিন্ন অংকের টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় কমপক্ষে ১৫ জন ক্রেতা ও বিক্রেতাকে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযান চলাকালে অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার পর সেই আগের চিত্রই ফুটে উঠে।

এ বিষয়ে ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডা. সঞ্জীব দাস বলেন, সরকার যেদিন থেকে বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সেদিন থেকেই আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা চাচ্ছি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করতে। আমরা বলতে চাই, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই চলবে তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ অভিযান পরিচালনা করব। জনগণ যদি সচেতন না হয় তাহলে অভিযানের সুফল মিলবে না।
আরও পড়ুন : অভিযান শুরু হতেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বসুন্ধরা সিটি
জরিমানার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না তাদের সক্ষমতা বিবেচনা করে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে। তবে কেনাকাটার সময় তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এমএসি/এসকেডি