জমে উঠছে পুরান ঢাকার ইফতার বাজার

বিধিনিষেধের মধ্যেও পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ও দোকানে বাহারি ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। রমজানের প্রথম দিকে ইফতারের দোকানগুলোয় বেচাকেনা কম ছিল। তবে গত কয়েক দিন ধরে ইফতারের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পুরান ঢাকার চকবাজার, জনসন রোড, ইংলিশ রোড়, কলতাবাজার, সূত্রাপুর বাজার, গেন্ডারিয়া ও ওয়ারী কাঁচাবাজারের আশেপাশের সড়ক ঘুরে দেখা যায়, নানা পদের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। দুপুরের আগে থেকে দোকানগুলোয় ইফতারের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি শুরু হয়। বিকেল থেকে শুরু হয় বেচা কেনা। চলে ইফতারের আগ পর্যন্ত।

ইফতারের বিশেষ আয়োজনের মধ্যে রয়েছে কিমা পরোটা ( প্রতি পিস ৪০ টাকা), টানা পরোটা (প্রতি পিস ২৫ টাকা), পানির পরোটা (প্রতি পিস ৩০ টাকা), ভেজিটেবল রোল (প্রতি পিস ৩০ টাকা), ইরানি কাবাব (প্রতি পিস ৩৫ টাকা), মাটন কোপ্তা (প্রতি পিস ৩৫ টাকা), মাটন জালি কাবাব (প্রতি পিস ২০ টাকা), মাটন বল (প্রতি পিস ২০ টাকা), পানতারাস (প্রতি পিস ৪০ টাকা), চিকেন টোস্ট (প্রতি পিস ৪৫ টাকা), চিকেন শাশলিক (প্রতি পিস ৫০ টাকা), খাসির রোস্ট (প্রতি পিস ৫৫০ টাকা), ডিম চপ (প্রতি পিস ৩০ টাকা), মুরগি চপ (প্রতি পিস ৪০ টাকা), দেশি মুরগি ফ্রাই (প্রতি পিস ৩০০ টাকা), খাসির জালি কাবাব (প্রতি পিস ৪০ টাকা), দেশি মুরগির কালিয়া (প্রতি পিস ৩৫০ টাকা), সুজির ফালুদা (প্রতি কেজি ২২০ টাকা), নবাবি চিকেন (প্রতি পিস ১২০ টাকা), চিকেন ললিপপ (প্রতি পিস ২৫ টাকা), মাঠা (প্রতি কেজি ৬০ টাকা), দই বড়া (প্রতি কেজি ২০০ টাকা)।
আরও পড়ুন : ইফতার-আয়োজন বন্ধ, হচ্ছে না রাজনৈতিক মিলনমেলা
সাধারণ আইটেমের মধ্যে রয়েছে ছোলা ( প্রতি কেজি ৯০ টাকা), পেঁয়াজু (প্রতি পিস ৫ টাকা), আলুর চপ (প্রতি পিস ৫ টাকা), বেগুনি (প্রতি পিস ৫ টাকা), সবজি চপ (প্রতি পিস ৫ টাকা), শাহী হালিম (প্রতি কেজি ১৫০ টাকা), শাহী জিলাপি (প্রতি কেজি ২০০ টাকা), চিকন জিলাপি (প্রতি কেজি ১৫০ টাকা), মোটা জিলাপি (প্রতি কেজি ১৬০ টাকা)।

আল ইসলাম রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক মো. শফিক বলেন, আমরা প্রথম রমজান থেকে ইফতারের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছি। প্রথম দিকে ক্রেতা কম পেয়েছি। এখন অনেক বেশি ক্রেতা পাচ্ছি। ভিড়ও বেড়েছে আগের তুলনায়। প্রত্যেক দিন যে পরিমাণ ইফতার সামগ্রী আমরা তৈরি করি তা দ্রুতই শেষ হয়ে যায়। বিধিনিষেধের কারণে এবার অন্য বছরের তুলনায় কম পরিমাণ ইফতার সামগ্রী তৈরি করা হয়। যা প্রতিদিনই বিক্রি করতে পারি।
আরও পড়ুন : এক টাকায় ইফতার
ইফতার কিনতে আসা মো. এজাজুল হক বলেন, বিধিনিষেধের কারণে সাধারণত ঘর থেকে বের হওয়া হয় না। পরিবারের জন্যে কাবাব কিনতে এসেছি। আমার ছেলের পছন্দ গ্রিল। তাই তার জন্য গ্রিল ও আমার জন্য নবাবি চিকেন কিনেছি।
এমটি/এসকেডি/জেএস