জাতিসংঘের কারিগরি সহায়তা নেবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি
কোটাবিরোধি আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের কারগরি সহায়তা নেওয়ার প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন (ইউএনএইচআরসি) প্রধান ভল্কার তুর্ক কর্তৃক গত ১৯ ও ২৫ জুলাইয়ের দেওয়া বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বর্তমান চলাকালীন কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে যে সংশয় প্রকাশ করেছেন সে বিষয়টি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
গত ১৯ ও ২৫ শে জুলাই দুটি বিবৃতি তারা দিয়েছেন উল্লেখ করে নাইমুল ইসলাম খান বলেন, সেখানে তারা কোনো সুনির্দিষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কিছু বলেননি, শঙ্কার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুরো ঘটনার তদন্ত করার জন্য যে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করেছেন জাতিসংঘ সেখানে প্রস্তাব করেছে তারা সেখানে কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত। সবাই জানেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন জাতিসংঘের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘ থেকে অথবা অন্য কোন দেশ থেকেও কারিগরি সহায়তা নেওয়ার ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতির সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতিসংঘের এই দুইটি বিবৃতি অতি অল্প তথ্যের ভিত্তিতে একটি সংশয় সৃষ্টিত উদাহরণ মাত্র। আমরা এটাও বিশ্বাস করি, জাতিসংঘ যদি আরও নিরপেক্ষভাবে তথ্যানুসন্ধান অব্যাহত রাখে এবং পুরো চিত্রটা যদি তাদের কাছে পরিষ্কার হয় তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারা হুতা সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবে।
এমএসআই/এসকেডি