সংকট নিরসন, সহিংসতা-জানমালের ক্ষতি ঠেকাতে সংলাপের আহ্বান
বর্তমানে চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা জানিয়ে জাতীয় জীবনে শান্তি, জনসাধারণের নিরাপত্তা ও জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাপনে স্বস্তি আনয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
চলমান সংকট নিরসন, আর কোনো সহিংসতা বা নাগরিকের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য সংলাপের আহ্বানও জানিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
কমিশন মনে করে, সকল পর্যায়ে সাংবিধানিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির অনুসরণে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ইতোমধ্যে সারা দেশে বহুসংখ্যক মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে, যা অত্যন্ত মর্ম পীড়াদায়ক। সকল প্রকারের সহিংসতা ও নাশকতা পরিহার করেজন জীবনে শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টার প্রতি ইতোপূর্বেও কমিশন বেশ কয়েকবার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এত বেদনাদায়ক ঘটনার পরেও আন্দোলনের তীব্রতা কমছে না।
এ অবস্থায় পরস্পর বিরোধী পক্ষগুলোর মারমুখী অবস্থান ও প্রায়শ ঘটানো সহিংসতায় কোনো শান্তি আনার পরিবর্তে সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে ভবিষ্যতে অধিকতর দুর্ভাগ্যজনক প্রাণহানি ও নির্মমতার। এ পরিস্থিতিতে সকল অস্থিরতা নিরসনপূর্বক স্থিতিশীলতা আনয়ন বিশেষভাবে প্রয়োজন। জাতীয় পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি হতে পারে সারাবিশ্বে স্বীকৃত আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে। এজন্য সকলের মাঝে সহযোগিতা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতামূলক মনোভাব পোষণ করে সকল পক্ষ সংলাপে অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।
সকল সংঘাত এড়িয়ে চলার উদ্দেশ্যে সরকার ও আন্দোলনকারী পক্ষ সকলে মিলে সংক্ষুব্ধতার সকল বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করার মাধ্যমে দেশে শান্তি আনয়নের চেষ্টায় ব্রতী হওয়ার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সকলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আহ্বান জানাচ্ছে। আর কোনো সহিংস ঘটনা যাতে জনসাধারণের জান ও মালের ক্ষতিসাধন না করে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার জন্য তিনি আন্তরিক আহ্বান জানান।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশন বিশ্বাস করে বাংলাদেশে মানবাধিকারও সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জাতীয় সংস্কৃতি বিরাজ গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের সমান ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং মর্যাদার প্রতি বিশেষ নজর প্রদানের মাধ্যমে দ্রুত সব সংকট নিরসনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
জেইউ/এসএসএইচ