সাতকানিয়ায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার কার্যালয়ে হামলা
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানিহাটে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নেন অন্তত সহস্রাধিক লোকজন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার কার্যালয়সহ কয়েকটি দোকান-অফিসে ভাঙচুর। একই সঙ্গে বান্দরবান রাস্তার মাথায় থাকা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে এসব কার্যালয় থেকে মালামাল বের করে আগুন দেওয়া হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চললে এসময় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। দুপুর ৩টার দিকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে হামলার চেষ্টা করা হলেও বিক্ষোভকারীদের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মিঠাদিঘী এলাকায় জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। এরপর সেখান থেকে মহাসড়ক ধরে মিছিলযোগে ৫ কিলোমিটার দূরে কেরানিহাটে পৌঁছেন তারা। যাওয়ার পথে রাস্তার মাথা এলাকার আগে কেঁওচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ওসমান আলীর বাড়িতে হামলা করে বিক্ষোভকারীরা। পরবর্তীতে কেরানিহাট পৌঁছে সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি ব্যাংক ভবনের নিচে থাকা ওসমান আলীর কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় কার্যালয় থেকে মালামাল বের করে আগুন দেওয়া হয়।
কেরানিহাটের একজন ব্যবসায়ী জানান, বিক্ষোভকারীরা মিষ্টির দোকান বনফুলে হামলা চালায়। এটির মালিক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। এ সময় তারা মিষ্টির দোকানের পাশে মোহাম্মদ আলীর কার্যালয়ে হামলা এবং ভাঙচুর করে। এছাড়াও বিক্ষোভকারীরা কেরানিহাট মোড়ের পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও পরবর্তীতে সেখান থেকে মালামাল বের করে আগুন দেয়। এছাড়াও কেরানিহাটে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মালিকানাধীন আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে হামলা করে বিক্ষোভকারীরা।
ঘটনার বিষয়ে জানতে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এমআর/এসকেডি