পুলিশের ফোকালপার্সন অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান
বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন। চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইস্কাটন গার্ডেনে পুলিশ অফিসার্স মেস এ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি (চাকরিচ্যুত) খান সাঈদ হাসান। তিনি নির্যাতিত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের পক্ষে এই ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, পুলিশে কমান্ড দেওয়ার মতো এখনো কেউ নেই। পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, পুলিশ পুনর্গঠন করে স্বৈরাচারী সরকারের আজ্ঞাবহ কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
আমাদের আলোচনায় পুলিশ হত্যা অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ঘটনাসহ অন্যান্য সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া করণীয় সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পুলিশের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। ফলে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কার্যক্রম চালু রাখার লক্ষ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুর রহমানকে বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কন্টাক্ট পয়েন্ট হিসেবে নিযুক্ত করার জন্য সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তাদের কর্মকাণ্ড বিষয়ে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জের কোনো সদস্যের যোগাযোগের প্রয়োজন হলে তার সঙ্গেই যেন সেটা করা সম্ভব হয়, এ জন্যই উনাকে সর্বসম্মতিক্রমে দায়িত্ব প্রদান করেছি। খুলনার পুলিশ কমিশনার সেখানকার পরিস্থিতি বা তাদের করণীয় বিষয়ে এ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
ছাত্র জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের প্রাথমিক বিজয় অর্জন হয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশের ৮০ শতাংশ সদস্য যারা নিরীহ ছিল তারা শুধু কমান্ড ফলো করেছে, তাদের কোনো দোষ নেই। কিছু কর্মকর্তাদের কারণে এসব নিরীহ পুলিশ তাদের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য হয়েছে। অথবা কিছুই করেনি গায়ে শুধু ইউনিফর্ম থাকার কারণে সে হত্যার শিকার হয়েছে। এসব নিরীহ পুলিশ সদস্যরাও কিন্তু আপনাদের পরিবারের সন্তান কারো ভাই, কারো ছেলে কারও আত্মীয়। তাই আমরা বলতে চাই এদের আপনারা রক্ষা করেন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব এর কাছেও আমরা বলেছি যে পুলিশ রক্ষার জন্য আপনারা নির্দেশনার মাধ্যমে সহযোগিতা করুন।
এআর/এসকেডি