ইসিতে আন্দোলনরতদের তালিকা চান কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের আওতায় নিয়োগ হওয়া আউটসোর্সিংয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গতকাল ও আজকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, আউটর্সোসিং থেকে তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। বিষয়টি আমলে নিয়ে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বর্তমানে আন্দোলনরতরা নিজ কর্মস্থল ছেড়ে দাবি আদায় করতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তবে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সকল কর্মচারীদের নামের তালিকা চেয়েছেন কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার এক অফিস আদেশে এ তালিকা চান।
অফিস আদেশে জানানো হয়, কুমিল্লা অঞ্চলের আওতাধীন জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসে (আইডিইএ) প্রকল্প (২য় পর্যায়) যে সকল ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও স্ক্যানিং অপারেটর গত ২১ ও ২২ আগস্ট কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন তাদের নামের তালিকা অত্র কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
আন্দোলনরতরা জানান, দাবি আদায়ে ঢাকায় আসায় ২১ আগস্ট খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শোকজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবেশ, পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি আর শোকজ করেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি তাৎক্ষণিক দুঃখও প্রকাশ করেছেন। সেখানে কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শোকজ দেওয়ার জন্যই মূলত তালিকা চেয়েছেন। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশন সচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করব।
উল্লেখ্য, এনআইডি অনুবিভাগ ইসি থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নেওয়ার জন্য স্বতন্ত্র একটি আইন প্রণয়ন করে সরকার। তবে সেখানে বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কার্যক্রম না নেবে ততদিন পর্যন্ত তা ইসির অধীনেই থাকবে। সরকার আইনটি করার সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এনআইডি সরবরাহ করা হয়, সেহেতু ইসির অধীনে এই কার্যক্রম থাকাই নিরাপদ। এছাড়া ইসির এই কার্যক্রমের জন্য রয়েছে দেড় যুগের দক্ষতা, অবকাঠামো। নতুন করে অন্য কোনো দপ্তরের অধীন নিলে নতুন করে লোকবল, অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এতে রাষ্ট্রের ব্যয় ও নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়বে। অন্যদিকে এনআইডি কর্মরতদের অনেকের চাকরিজীবন কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। তাই তাদের প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে না নেওয়াটা অমানবিক মনে করছেন অনেকে।
এসআর