উন্নয়ন কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিতের দাবি
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের নামে বিপুল অর্থ ব্যয়ে প্রকল্প হয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য এ সব প্রকল্পের উপযোগিতা ছিল অনেক কম। নতুন বাংলাদেশে নগর-গ্রামে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করে পরিকল্পনামাফিক শহরগুলোকে গড়ে তোলার একটি দাবি জানানো হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘বাসযোগ্য নগরী গঠনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল টকশো’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতির (বেলা) ক্যাম্পেইনস অ্যান্ড পলিসি কো-অর্ডিনেটর বারিশ হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ প্রায় ছিল না বললেই চলে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রথম চাওয়া জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের পথে যে বাধাগুলো আছে তা দূরীকরণ। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে আমাদের দেশে প্রচুর আইন থাকা স্বত্বেও কোন প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়নি।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকার পরেও অনেক মাঠ-পার্কে মানুষের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত হয়নি। প্রচুর নদী-নালা-খাল-জলাশয় দখল হয়ে গেছে। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাও জরুরি। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে যেন পরবর্তীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন জনগণের মৌলিক চাহিদা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। উন্নয়ন কার্যাবলী যেন বড় বড় প্রকল্পভিত্তিক না হয়ে জনগণের চাহিদাভিত্তিক হয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত করার বিকল্প নেই।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ নগরকে বসবাস উপযোগী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি শুধু প্রকল্পভিত্তিক নগর উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। জনবান্ধব শহর তৈরিতে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছি।
তিনি বলেন, নগর উন্নয়নের জন্য প্রতিটি কর্মকাণ্ড হবে এমন যেন প্রতিটি মানুষ এই উন্নয়ন সমভাবে উপভোগ করতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা দেশের সব উন্নয়নে যেন সব শ্রেণি পেশার মানুষকে যুক্ত করা হয়।
এএসএস/পিএইচ