ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চায় ডিএনসিসি

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সভা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
রোববার (০৩ জানুয়ারি) করপোরেশনের নগর ভবনে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, উন্নত বিশ্বে এরইমধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও সঠিক নেতৃত্বে আমরাও খুব সহসাই এই টিকা পেতে যাচ্ছি। চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথমেই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান দেশে পৌঁছাবে।
আরও জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, যা দিয়ে দেড় কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে কোভ্যাক্স এর সহায়তায় আরও ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, যার মাধ্যমে আরও ৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে।
এছাড়া সরাসরি টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আশা করা যায় এই বছর শেষ হওয়ার আগেই দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আসবে।
সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় এই ভ্যাকসিনের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে সবচেয়ে বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য আমাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডিএনসিসি এলাকায় ডিএনসিসি মেয়র কমিটির সভাপতি।
সভা সূত্রে জানা গেছে, এই কমিটি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়ষ্ক জনগোষ্ঠীর অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন; করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ করা; ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় কেন্দ্রগুলোর আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া এবং ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হবে।
সমন্বয় সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. বেলাল হোসেন, ঢাকার সিভিল সার্জন মঈনুল ইসলাম, ব্র্যাক ও ঢাকা আহসানিয়া মিশনের প্রতিনিধি, ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এ কে এম মাসুদুজ্জামান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাস্টন, ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/জেডএস