সাবেক উপাচার্য সৌমিত্র শেখরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞায় চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পাশাপাশি ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, থাইল্যান্ড ও মালেশিয়ায় তার এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে বাড়ি কিংবা সম্পদের তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটেও (বিএফআইইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পুলিশের স্পেশাল শাখা ও বিএফআইইউ প্রধান বরাবর পৃথক ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে উপাচার্য হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ গ্রামে ও পরিবারের সদস্যের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, ভারত, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে বাড়ি বা সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ভর্তি–বাণিজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধে এক ঠিকাদারের সোনালী ব্যাংকের আমানত রূপালী ব্যাংকে স্থানান্তরে প্রতি কোটিতে ৫০ হাজার টাকা করে কমিশন আদায়, গাড়ির জ্বালানির জন্য বরাদ্দ দেওয়া সরকারি তহবিল আত্মসাৎ এবং অবৈধ অর্থে শেরপুরে জমি কিনে ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে ঢাকার ধানমন্ডি ও উত্তরায় একাধিক ফ্ল্যাটের মালিকানা এবং শেরপুরে সম্পত্তির প্রমাণও পেয়েছে দুদক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আড়াই বছরের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
আরএম/জেডএস