গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে সংস্কার কাজে আসবে না

দেশে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না গেলে, যত সংস্কার করা হোক না কেন কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু চৌধুরী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজনের বিষয় ছিল ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’।
আমীর খসরু চৌধুরী বলেন, বৈষম্য নিয়ে ভাবতে হলে পরিসংখ্যান যথাযথ হতে হয়। কিন্তু পরিসংখ্যানের ওপর আস্থা নেই, আজ পরিসংখ্যান প্রশ্নবিদ্ধ। অর্থনীতিতে গণতন্ত্রের প্রতিফলন থাকতে হবে। অর্থনীতি কিছু লোকের হাতে চলে গেছে। অর্থনীতিতে গণতান্ত্রয়ন না করতে পারলে বৈষম্য দূর হবে না।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, বৈষম্য দূর করতে হলে অর্থনীতিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে। কিছু সিলেক্টেড লোককে সুবিধা না দিয়ে সাবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। কেবলমাত্র গার্মেন্টস সেক্টরকে সুযোগ না দিয়ে অন্যান্য সেক্টরে সমান সুযোগ দিতে হবে। আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা বলছি, কিন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতির মূল প্র্যাকটিসই নেই। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের টাকা গেছে মেগা প্রজেক্টে। কিন্তু এই খাত সর্বাধিক অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ করে বরাদ্দ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমার দল। এই খাতগুলো সার্বজনীন সুযোগ রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আরেকটা সমস্যা হচ্ছে জবাবদিহিতা। প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতা ধ্বংস করা হয়েছে। জবাবদিহিতা না থাকলে কোনো কিছুই কাজ করবে না। যত সংস্কার করেন না কেন কাজে আসবে না, যদি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা না থাকে। দেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার নিশ্চিত করতে হবে।
অর্থনৈতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডিসহ শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/আরএইচটি