ব্যাটেল অব মাইন্ডসে চ্যাম্পিয়ন ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’
বিজনেস কেইস নিয়ে প্রতিযোগিতা ব্যাটেল অব মাইন্ডসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’। পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবসায়িক নেতৃত্ব দিতে দলের আইডিয়া ছিল ‘জ্যাকফ্রুট চিপস’ নিয়ে। বাংলাদেশ থেকে বিজয়ী দলটি বৈশ্বিক পর্বে ২৫টি দেশের বিজয়ী দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। বৈশ্বিক পর্বের বিজয়ীরা তাদের উপস্থাপিত ধারণা বাস্তবায়নের জন্য সিড ফান্ড হিসেবে ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পাবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেল আয়োজিত ব্যাটেল অব মাইন্ডসের সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও ৪টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে প্রথম স্থান অর্জন করে টিম ‘পারডন আস, কামিং থ্রু’। এই টিমে রয়েছেন— মো. নাহিয়ান হাসান, রিদাহ্ তারান্নুম মেহমুদ এবং আদীবা রুকাইয়া হাসান। তারা সবাই বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী।
ব্যাটেল অব মাইন্ডসের ২১তম আসর। সমাপনী অনুষ্ঠানে আসা বাকি ৪টি দল হচ্ছে— টিম সিডসিল্ক (দ্বিতীয়), টিম নিউরনস (তৃতীয়), টিম কুকিজ এবং টিম শার্ক।
এ বছর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের দু’টি চ্যালেঞ্জ (প্রোডাক্ট বা এআই রেভ্যুলেশন) থেকে একটি বেছে নিতে বলা হয়। উল্লেখ করে দেওয়া হয়, তাদের উপস্থাপিত ধারণাকে সংশ্লিষ্ট খাতের কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন
ব্যাটেল অব মাইন্ডসের ২১তম আসরে ৭০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৭০০ এর বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
ব্যাটেল অব মাইন্ডস প্রতিযোগিতা ২০০৪ সাল থেকে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ প্রতিযোগিতা তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা, অগ্রণী প্রযুক্তি ও দূরদর্শী সমাধানের মাধ্যমে পৃথিবীতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার সুযোগ প্রদান করছে। ধারাবাহিকভাবেই, ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডসে’র অ্যালামনাইরা তাদের কাজের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বদায়ক ভূমিকা পালন করছেন। ব্যাটেল অব মাইন্ডসের প্রায় ২ হাজার সদস্যের একটি সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। এ নেটওয়ার্কের সদস্যরা বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, মানুষ, নেটওয়ার্কিং ও ফিনানশিয়ালি রিসোর্সে মিলে একটি মিরাকেল হতে পারে। এটি একটি ভিন্ন প্লাটফর্ম, যা মিরাকেল ঘটাতে সহায়তা করে। আজকে যারা বিজয়ী হলেন, তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— ব্যাট বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনীষা আব্রাহাম। তিনি বলেন, আমাদের এই আয়োজন দীর্ঘ দিনের। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমাদের অ্যালামনাই সংখ্যাও অনেক। আমরা শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করি যাতে তারা ভালো কিছু উপহার দিতে পারে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্যাট বাংলাদেশের অন্যান্য কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এমএ