ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসে এটাও বলে আগের স্যারের থেকে ঘুষ কম নিচ্ছেন
ভূমি রেজিষ্ট্রেশন অফিস সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা রয়েছে জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, সবাই সেখানে দিয়ে যাচ্ছে (ঘুষ)। দিচ্ছে, নিচ্ছে এবং এটাও বলে আগের স্যারের থেকে কম নিচ্ছেন!
রোববার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্যুর করতে গিয়ে দেখলাম মানুষ মনের থেকে যে কথাগুলো বলেছে এবং কয়েকটি অফিস সম্পর্কে মানুষের নেগেটিভ ধারণা রয়েছে। সে বিষয়ে আপনারাও জানেন। এগুলো আমি উল্লেখ করতে চাই না। তবুও দুই-একটা বলতে হয় যেমন এসিল্যান্ড, রেজিস্ট্রেশন অফিস সম্পর্কে মানুষের বাজে ধারণা। এখানে দুর্নীতি এমন লেবেলের যে সেখানে কোনো অভিযোগ নেই। সবাই সেখানে দিয়ে যাচ্ছে। দিচ্ছে, নিচ্ছে এবং এটাও বলে আগের স্যারের থেকে কম নিচ্ছেন। দুর্নীতির এ ধরনের একটা প্রেক্ষাপট আমাদের জিইয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন
মাঠ পর্যায়ের পরিদর্শনে তাদের অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা যখন গোপালগঞ্জের পাশ দিয়ে যাই সেখানে ৫০০ বেডের একটা বিরাট মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হয়েছে। এতে আমরা খুশি যে একটা কাঠামো তৈরি হয়েছে।
কিন্তু সেখানে কোনো ডাক্তার নেই, ছাত্র, নার্স নেই। এ ধরনের বিল্ডিং যদি মানুষ ছাড়া পড়ে থাকে সেসব নিয়ে আমাদের অবজারভেশন আছে। এসব বিষয় আমাদের সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে সুপারিশ আসবে, জানান সিনিয়র সচিব।
তিনি বলেন, আমাদের আরো কিছু ভিজিট বাকি আছে। যেমন প্রেস ক্লাবে একটা আয়োজন করা হবে সেখানে আমরা আপনাদের কথা শুনবো। এফবিসিসিআইও আমাদের একটা ডেট দিবে আমরা যাবো এবং তাদের কথা শোনব। এটাই আমাদের কাজ, অনেক কাজ গুছিয়ে আনা হয়েছে, এছাড়া অনলাইনে এক লাখ প্রশ্ন গেছে, সেগুলোর উত্তর সফটওয়্যারের মাধ্যমে দিতে পারবো।
মানুষ পরিবর্তন চায়, পরিবর্তনের জন্যই পরিবর্তিত সরকার এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কাজ করছি। আমাদের দোষটা কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদেরই বেশি। আমরা শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বলছি, আমরাইতো টিকিয়ে দিয়েছিলাম সরকার। আমি হয়ত ছিলাম না, কিন্তু আমাদের মতো কর্মকর্তারাইতো টিকিয়ে রেখেছেন। তখন তাদের এক সুর আর ৫ আগস্টের পর আরেক সুর৷ এতে আপনারাও ভুক্তভোগী তখন আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন নাই।
এ সময় গঠিত কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আমরা বলি- কাক কাকের মাংস খায় না। আমলাদের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম আমলারাই করে।
তিনি বলেন, আমরা কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করব। যেন এ ধরনের আবহাওয়ার সৃষ্টি না হয়। তারপরও থেকে যায়, যত চেষ্টা করি না কেন আমি, কিছু লোক থাকবে তারা চাইবে। সংবিধান সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে একদিনে পরিবর্তন আনা সম্ভব না। আমরা সুপারিশ দেবো।
এসএইচআর/এমএ