অর্থপাচারকারীদের তালিকা করার দাবি জানালেন এক প্রবাসী
বাংলাদেশের অর্থপাচারকারীদের তালিকা করে নির্বাচনের আগে সুইচ ব্যাংক থেকে টাকা এনে তা রাষ্ট্রের জনগণের কাছে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন আমিনুল ইসলাম নামের একজন শ্রমজীবী প্রবাসী। তিনি বলেন, পাচার হওয়া এসব টাকা কৃষকের ঘামঝরানো টাকা, গার্মেন্ট শ্রমিকের টাকা, শ্রমজীবী প্রবাসীদের টাকা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত একক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা পর্যন্ত যতগুলো দল ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রের অর্থ লুটপাট করে দেশে এবং দেশের বাইরে বেগমপাড়া, সেকেন্ড হোম, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সুইচ ব্যাংকে অর্থপাচার করেছে, তাদের সবার তথ্য নির্বাচনের আগে দেশের জনগণের সামনে প্রকাশ করার জন্য অস্থায়ী সরকারের প্রধানের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, দলগুলো ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রবাসীরা অনেক হেনস্তা এবং ক্ষতির শিকার হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে থানা, পাসপোর্ট অফিস, এয়ারপোর্ট পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় টাকা দিতে হয়। এমনকি প্রবাসীরা যখন এয়ারপোর্টে আসে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে প্রবেশ ফি ৩০০ টাকা করে আদায় করা হতো। এভাবে প্রতি বছর অন্যায়ভাবে প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হতো।
সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময় টেস্টের নামে প্রতিজনের কাছ থেকে ১৮০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা করে এবং কারো কারো কাছ থেকে আরো বেশি টাকা আদায় করা হতো। এর ফলে শুধু করোনাকালীন সময় কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রবাসীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এ অর্থগুলো কি রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হয়েছে নাকি দলগুলোর পকেটে গেছে? তদন্ত সাপেক্ষে যদি প্রমাণিত হয় রাজনৈতিক দলগুলোর পকেটে গেছে, তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে দলগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা, তা সরকার প্রধান ড. ইউনূসের কাছে প্রশ্ন, আমরা শ্রমজীবী প্রবাসীরা জানতে চাই।
এএসএস/জেডএস