জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা
![জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024December/polli-biddut-20241213174541.jpg)
প্রায় আড়াই মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ জন কর্মকর্তা। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
মুক্তি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- ব্রাক্ষণবাড়িয়া নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া, মাগুরার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোণার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বেলাল হোসেন, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আলী হাসান মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (আইটি) এস কে শাকিল আহমেদ ও ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সালাউদ্দিন।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত বলেন, আসামিরা কেউ রাষ্ট্রবিরোধী নয়, বরং রাষ্ট্রের পক্ষেই আন্দোলন করেছিলেন। যে ধারায় এ মামলা করা হয়েছে সেই ধারায় এটি চলে না। মূলত, একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলাটি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও সমিতির মধ্যে পেশাগত বৈষম্য, বোর্ডের সরবরাহ করা নিম্নমানের মালামাল ও দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে কথা বলাতেই রোষানলে পড়েছে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একটি বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাদের এ পরিণতি হয়েছে।
আরও পড়ুন
আনোয়ার শাহাদাত বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে হলে যে ধরনের ফৌজদারি কার্যবিধি ও প্রসিডিউর অনুসরণ করতে হয় এ মামলার ক্ষেত্রে তা প্রতিপালন করা হয়নি। মামলার কোনো মেরিট নেই, মিনিং লেস একটি মামলা। আদালত বিষয়টি অনুধাবন করে আসামিদের জামিন দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখার) আরশাদ হোসেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেম সংস্কার করে বোর্ড ও সমিতিকে একীভূতকরণ এবং অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিত করার যৌক্তিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় সরকার একাধিক কমিটি করে দিয়েছিল। সেই কমিটি আলোচনার জন্য একাধিক মিটিংও করেছে। কিন্তু হঠাৎ সরকার পরিবর্তনের পর কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি মেনে না নিতে নানা ধরনের হয়রানিমূলক পদক্ষেপ নেয় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
এরপর সমিতির ২৪ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত, অন্যান্য শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজ, হয়রানিমূলক বদলিসহ একের পর এক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে থাকে। শুধু তাই নয়, বোর্ডের এমন পদক্ষেপে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পল্লী বিদ্যুৎ খাত।
ওএফএ/এআইএস