গরমে নির্ঘুম রাত কাটছে নিম্ন আয়ের মানুষের

গত কয়েকদিনের উত্তপ্ত তাপে পুড়ছে দেশের অধিকাংশ এলাকা। কোথাও কোথাও আজ (সোমবার ২৪ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি পার হয়েছে। সূর্যের খাড়া তাপে নাজেহাল অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষ। রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় গামছা, মাথাল ব্যবহার করে বা যেখানেই একটু ছায়া পাচ্ছেন শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছেন তারা।
যাত্রী নামিয়েই ঘাম মুছতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন জামাল উদ্দিন। আশপাশে ছায়া না পেয়ে মাথায় গামছা দিয়েই কিছুটা রোদের তাপ থেকে মুক্তি খুঁজছেন তিনি। গরম কেমন প্রশ্ন করতেই বলে উঠেন- গরম তো না, যেন শরীরে আগুনের তাপ লাগছে। সারাদিন রোদে পরিশ্রমের পর রাতে যে একটু আরামে ঘুমাবো, তারও উপায় নেই। ঘরে ঢুকলেই যেন গরমে সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়।
শুধু জামাল উদ্দিন নন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিম্ন আয়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরমের কারণে নির্ঘুম রাত কাটছে রোদে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর। রাতের শেষ বেলায়ও তারা একটু আরামে ঘুমাতে পারছেন।
কালা চাঁদপুর বস্তিতে বাস করা জামাল বলেন, খুব অস্থির লাগে। গরমে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। রাতের আরাম যেন হারাম হয়ে গেছে। ফ্যানের গরম বাতাসে আরও বেশি কষ্ট হয়। দেখা যায়, ঘর ঠান্ডা হতেই অনেক সময় লেগে যায়।
টঙ্গী এলাকার জাকির হোসেন বলেন, সারাদিন ডিউটি করি রোদের মধ্যে। রাতে যে একটু শান্তিতে ঘুমাবো সেই সুযোগও নেই। টিনের চাল গরম হয়ে থাকে। ফ্যানের বাতাসের সাথে যেন চালের গরম ভাপ মিশে যায়। খুবই কষ্ট হয়। শেষ রাতে যখন একটু তাপ কমে তখন ঘুমাই।
রাজধানীর উত্তরার রাজলক্ষী এলাকার শপিং মলের সিকিউরিটির দায়িত্ব পালন করেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের ঘর ছোট। পরিবার নিয়ে ছোট ঘরে গরমে থাকা খুবই কষ্ট হয়ে যায়। বয়স হয়ে গেছে, এমন গরম সহ্য করা খুব কষ্ট হয়ে পরে। দেখা যায়, সকালে ঘুম চোখে আসতেই ডিউটির সময় হয়ে যায়।
আবহাওয়া অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে গরমের তাপে পুড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রির ওপরে থাকা জ্যৈষ্ঠের খরা তাপে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সবার একটাই প্রশ্ন, কবে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি।
একে/এমএইচএস