হাজার কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ ৩৫ কোটি টাকা

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
স্থানীয় সরকার নয়, জাতীয় নির্বাচন আগে চায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দল
অতি সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন চান। তবে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আগে জাতীয় নির্বাচন চায়। দলগুলো মনে করে, এ মুহূর্তে জাতীয় অগ্রাধিকার হচ্ছে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আগে চাইতে পারেন। কিন্তু এই মত এ সময়ের জন্য মোটেও বাস্তবভিত্তিক নয়।
তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনই স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে রয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দল। তারা বিবিএসের জরিপের ফলাফলকে যৌক্তিক বলে মনে করছে।
কালের কণ্ঠ
কাগজের কারসাজিতে ১১০০ কোটি লোপাট
পিরোজপুর জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিভিন্ন নির্মাণকাজে এসব ঘটনা ঘটে। মাত্র তিন বছরের মধ্যে এই জেলায় এভাবে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটেছে। আত্মসাৎ করা হয়েছে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। এলজিইডির তদন্তে এসব অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী। সচিবালয়ে আগুন লাগার পর পিরোজপুরের এলজিইডির দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আজকের পত্রিকা
সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে চারটি সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনের দেওয়া কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংস্কারে সম্মতি থাকলেও কিছু প্রস্তাব নিয়ে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে বিএনপির। বিশেষ করে সংবিধানের মূলনীতিতে পরিবর্তনের যেসব সুপারিশ এসেছে, তা নিয়ে দ্বিমত আছে। তবে এ নিয়ে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাচ্ছে না দলটি।
গত বুধবার সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ এবং দুদকের সংস্কারের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর প্রধানেরা। সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাবে বাংলাদেশের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’-এর পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ রাখার সুপারিশ করেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র বাদ দিয়ে সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। মূলত সংবিধান সংস্কার কমিশনের এ প্রস্তাবগুলো নিয়ে ঘোর আপত্তি রয়েছে বিএনপির।
বণিক বার্তা
চলতি অর্থবছরে ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি চায় পেট্রোবাংলা
প্রতি বছর বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে পেট্রোবাংলা। উচ্চ মূল্যে বিপুল অর্থ ব্যয়ে কেনা এ গ্যাস গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে তুলনামূলক কম দামে। এজন্য সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি নিতে হচ্ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এবং স্পট মার্কেট থেকে মোট ১০১ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি। পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জ্বালানি বিভাগকে জানানো হয়েছে, দাম ও ডলারের বিনিময় হার বর্তমান পর্যায়ে স্থিতিশীল থাকলে লক্ষ্যমাফিক এলএনজি আনতে সংস্থাটির ভর্তুকি প্রয়োজন হবে অন্তত ১৬ হাজার কোটি টাকা, যা সংস্থাটির বিগত অর্থবছরে নেয়া ভর্তুকির চেয়ে আড়াই গুণেরও বেশি। গত সপ্তাহেই এ নিয়ে জ্বালানি বিভাগে এক চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
সমকাল
ক্যাপাসিটি চার্জের ঘানি টানতে হবে দুই যুগ
বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৭৯০ মেগাওয়াট। দেশে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা থাকে গরমে– এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে। বিদ্যুৎ বিভাগ গত বছর গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা ধরেছিল ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। তবে এখন পর্যন্ত দৈনিক সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট। এ বছরের গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা যদি ১৮ হাজার মেগাওয়াট ধরা হয়, তাহলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এর চেয়ে ৯ হাজার ৭৯০ মেগাওয়াট বেশি। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় উৎপাদন সক্ষমতা ৫৪ শতাংশ বেশি। রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের বিবেচনায় চাহিদার চেয়ে উৎপাদন সক্ষমতা কিছুটা বেশি থাকতে হয়। একে রিজার্ভ মার্জিন বলে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে রিজার্ভ মার্জিন হিসাবে চাহিদার ২০ শতাংশ বেশি থাকা উচিত। সে হিসেবে বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা হওয়ার কথা ২১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, রিজার্ভ মার্জিন ২০ শতাংশের আশপাশে থাকা ভালো। এর বেশি হলে ক্যাপাসিটি চার্জ বেশি দিতে হবে। আর কম হলে লোডশেডিং হবে।
প্রথম আলো
বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি কমবে, মূল্যস্ফীতিও ভোগাবে
বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি কমবে। এর কারণ, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বিনিয়োগ ও শিল্প খাতে ভাটার টান। বিপরীতে মূল্যস্ফীতি থাকবে চড়া। সরকারের মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্য পূরণ হবে না।
বিশ্বব্যাংক ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ (বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা) শীর্ষক প্রতিবেদনের জানুয়ারি (২০২৫) সংস্করণে চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছর নিয়ে এসব পূর্বাভাস তুলে ধরেছে। তারা বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নামতে পারে, যা গত জুনের পূর্বাভাসের চেয়ে ১ দশমিক ৬ শতাংশীয় বিন্দু কম।
কালের কণ্ঠ
শুধু আইন করে রাজনৈতিক ধারা বদলানো কঠিন
এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না কিংবা সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রী হলে দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না—সংস্কার কমিশনের এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে দলগুলোর নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গুণগত পরিবর্তন আনতে না পারলে রাজনৈতিক ধারার পরিবর্তন তো হবেই না, বরং ‘পরিবারতন্ত্র’ আরো পাকাপোক্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই শুধু আইন বা সংবিধান সংশোধন করে বিদ্যমান রাজনৈতিক ধারা বদল করা যাবে না। সংস্কার কমিশনের এই দুই সুপারিশ ঘিরে রাজনৈতিক দল, সুধীসমাজসহ বিভিন্ন মহলের আলোচনায় এমন অভিমত উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন
আজকের পত্রিকা
মূল্যস্ফীতিসহ পাঁচ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের জন্য এ বছর পাঁচটি বড় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি। বাকি চার ঝুঁকি হলো চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া (বন্যা, তাপপ্রবাহ ইত্যাদি), দূষণ (বায়ু, পানি, মাটি), বেকারত্ব বা অর্থনৈতিক সুযোগের ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা (যেমন মন্দা, স্থবিরতা)।
গত বুধবার প্রকাশিত ডব্লিউইএফের বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন ২০২৫-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। ডব্লিউইএফ হলো সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা। দেশভিত্তিক প্রধান ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে জরিপ পরিচালনা করে ডব্লিউইএফ। এটি মূলত ধারণাভিত্তিক জরিপ। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আগামী দুই বছরে আপনার দেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোনগুলো।’ অংশগ্রহণকারীদের ৩৪টি ঝুঁকির তালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁরা পাঁচটি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করেন।
বণিক বার্তা
একের পর এক নিয়োগ দিয়ে বাতিল করছে সরকার
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য পদে গত ২ জানুয়ারি ছয়জনকে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে ১৩ জানুয়ারি তাদের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশের কয়েকটি জেলায় ডিসি নিয়োগ দিয়ে পরে তা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার এভাবে নিয়োগ দিয়ে পরে তা বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। বিদেশে কূটনৈতিক মিশনের কর্ণধার থেকে শুরু করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিষয়টির পুনরাবৃত্তি দেখা গেছে বারবার।
প্রথম আলো
আবাসন, বাংলোবাড়ি, রিসোর্ট সবই আছে পুলিশ কর্মকর্তা মোজাম্মেলের
পেশায় তিনি পুলিশ কর্মকর্তা। বর্তমান পদ অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি)। রাজধানীর উপকণ্ঠে তাঁর আবাসন ব্যবসা। আছে ১২ বিঘা জমিতে বাংলোবাড়ি। মেঘনা নদীর মাঝে রিসোর্ট। রয়েছে ওষুধ কারখানাসহ বিভিন্ন এলাকায় জমি। ২৬ বছর পুলিশের চাকরি করে এত সব সম্পদের মালিক হয়েছেন গাজী মোজাম্মেল হক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশের এই কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ‘আনন্দ পুলিশ হাউজিং সোসাইটি’ নামে ১ হাজার ২০০ বিঘা জমির ওপর আবাসন ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। তাঁর স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলের নামে রয়েছে ‘আনন্দ প্রপার্টিজ লিমিটেড’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। ফারজানার নামে রূপগঞ্জের বিভিন্ন মৌজায় অন্তত ৮০ বিঘা জমি রয়েছে।
ইত্তেফাক
বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে তা টিকিয়ে রাখা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদ বৃদ্ধি, ভ্যাটের বাড়তি চাপ, তারল্য সংকট, টাকার প্রবাহ কমানো, ডলারের উচ্চমূল্য, গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে ঘাটতি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে উদ্যোক্তাদের মধ্যে এক ধরনের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে হচ্ছে না নতুন করে শিল্পস্থাপন বা বিনিয়োগ।
কালের কণ্ঠ
দেশে ১৮ লাখের বেশি মানুষ ক্যান্সারে ভুগছে। এসব রোগীর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশের চিকিৎসার এক পর্যায়ে রেডিওথেরাপি নিতে হয়। অথচ ঢাকার সরকারি হাসপাতালের একটিতেও রেডিওথেরাপির কোনো যন্ত্র সচল নেই। এতে সরকারি পর্যায়ে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিকিরণ সেবা (রেডিওথেরাপি) বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের যন্ত্রটি অকেজো হয়ে পড়ে।
বণিক বার্তা
খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলারের
বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার প্রায় ৪৬৫ বিলিয়ন (৪৬ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের সমান। আর খাদ্যপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১৫০ বিলিয়ন (১৫ হাজার কোটি) ডলারের। বিশাল এ বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায়ই নিয়ন্ত্রণমূলক ভূমিকা নিচ্ছে সরকার। বাজার অস্থিতিশীলতা ঠেকাতে মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি খোলাবাজারে অত্যাবশ্যকীয় কিছু পণ্যের সরবরাহ করা হচ্ছে। মজুদদারি ও বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় পরিচালিত হচ্ছে অভিযানও। যদিও সরকারের এসব পদক্ষেপে ভোক্তাদের স্বস্তি মিলছে কমই। প্রশ্ন রয়েছে খাদ্যপণ্যের বিশাল বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা নিয়েও। অর্থনীতিবিদ ও উদ্যোক্তারা বলছেন, পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। এর পরিবর্তে সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজারকে মুক্ত করে দিয়ে প্রতিযোগিতার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই এর সুফল পাবেন ভোক্তারা।
প্রথম আলো
হাজার কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ ৩৫ কোটি টাকা
স্টার্টআপ খাতের জন্য ২০২১ সালের মার্চে দুটি তহবিল গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর তিন বছরে তহবিলে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি জমা হয়। তবে এখন পর্যন্ত স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে ৩৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।
স্টার্টআপ খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাবে দেশের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম বাড়াতে পারছে না। অথচ এ জন্য আলাদা তহবিল থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত ঋণ নিতে পারছেন না উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, স্টার্টআপ খাতের জন্য ২০২১ সালের ২৯ মার্চ দুই ধরনের তহবিল গঠন করা হয়। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল। দ্বিতীয়টি, ৫২টি তফসিলি ব্যাংকের মুনাফার ১ শতাংশ অর্থে গঠিত ব্যাংকগুলোর নিজস্ব স্টার্টআপ তহবিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তফসিলি ব্যাংকের মুনাফার অর্থ দিয়ে তৈরি এ তহবিলের মোট আকার দাঁড়ায় ৫০৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। দুটি তহবিল মিলিয়ে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার বেশি।
কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বাংলাদেশ থেকে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৯ জন কর্মী বিদেশ গেছেন। এর মধ্যে মাত্র ৬১ হাজার ১৫৮ জন নারী কর্মী বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে গেছেন। অর্থাৎ ২০২৪ সালে বিদেশ যাওয়া মূল জনশক্তির মাত্র ৬.৪ শতাংশ গেছেন নারীকর্মী। বিএমইটির তথ্য বলছে, ২০১৪ সাল থেকে কভিডকালীন বাদ দিলে গত ১০ বছরের যত নারী কর্মী বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন তার মধ্যে গত বছর সর্বনিম্ন রেকর্ড নারী কর্মী বিদেশে কর্মের উদ্দেশ্যে গেছেন।
সমকাল
৪ আগস্ট থেকে ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা: প্রেস উইং
গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার ৪০টি মাজার ও দরগাহে ৪৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে মাজার ও দরগাহে ভাঙচুর, ভক্তদের ওপর হামলা, সম্পত্তি লুট এবং আগুন লাগানোর ঘটনা অন্তর্ভুক্ত। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।
এছাড়া ঘরে-বাইরে ভোটের চাপ; জয়সওয়ালের ব্রিফিং / বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য নেই ভারতের; ডেঙ্গুর সমাধান টিকাতেই; মুন্সীগঞ্জে মির্জা ফখরুল / তরুণদের গড়ে তুললে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে; বিদেশি তিন সংস্থার চোখে বাংলাদেশ / মানবাধিকারে দরকার স্থায়ী সংস্কার—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।