মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রাজধানীতে মেয়ের আত্মহত্যা

রাজধানীর সবুজবাগ থানার বাসাবো মায়াকানন এলাকায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে চাঁদনী আক্তার (১৩) নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সে কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের চাচা নিহাদ ঢাকা পোস্টকে জানান, চাঁদনীর বাবা আড়াই বছর আগে তার মাকে ছেড়ে চলে যান যায়। নিহতের মা ময়না আক্তার অনেক কষ্ট করে বাসা বাড়িতে কাজ করে মেয়েদের নিয়ে সংসার চালান।
তিনি বলেন, আজ মায়ের কাছে ভালো ভালো খাবার চায় চাঁদনী এবং ভালো পোশাক পরতে চায়। কোথা থেকে দেবে তার মা। এসব নিয়ে তার মা বলে তোর বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, আমিও তোর বাবার মতো চলে যাব। পরে সে ব্যাগটা গুছিয়ে ছোট মেয়েটিকে নিয়ে চলে যেতে চায়। এই কথা নিয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহতের চাচা আরও জানান, চাঁদনী সবুজবাগের ১৭নং মায়াকানন এলাকায় টিনশেড বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকত। তিন বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়।
সবুজবাগ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রিয়তোষ চন্দ্র দত্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রুমের দরজা বন্ধ করে চাঁদনী নামের ওই মেয়েটি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এসএএ/এফআর