অবিলম্বে মাউশির নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি ছাত্র ফেডারেশনের

অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা প্রতিরোধের নামে শিক্ষার্থীদের বাকরুদ্ধ করার নতুন উদ্যোগ গণঅভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের (মাউশি) নোটিশ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২ জানুয়ারি মাউশি থেকে নোটিশ দিয়ে অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা প্রতিরোধের নামে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা গণঅভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বিরোধী। এটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন
তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছে। এই লড়াইয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী লড়েছেন,নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব। একইসঙ্গে এমন একটা গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করা যাতে আর কেউ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নিতে না পারে।
তারা আরও বলেন, কিন্তু আমরা অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করলাম বর্তমান সরকারও জনগণের মত প্রকাশের ক্ষেত্রে নানা ধরনের বাধা তৈরি করছে। মাউশির পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও গুজবের সঙ্গে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কোনটি অপপ্রচার ও গুজব হিসেবে চিহ্নিত হবে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই।
তারা বলেন, অতীতেও বিভিন্ন সরকারের এ ধরনের বিভিন্ন নির্দেশনা ও আইনের অপব্যবহার আমরা দেখেছি। এই ধরনের নির্দেশনা, আদেশ শিক্ষার্থীদের বাকরুদ্ধ করার নতুন উদ্যোগ বলেই আমরা মনে করি যা গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বিরোধী।
এএসএস/এমএ