ট্যানারি শ্রমিকদের ঘোষিত নিম্নতম মজুরি গ্রেড বাস্তবায়নের সুপারিশ

পাঁচটি গ্রেডে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরি গ্রেড অনুযায়ী বাস্তবায়ন করাসহ ৩টি সুপারিশ জানিয়েছে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব সুপারিশ জানান।
আরও পড়ুন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ নির্দেশনা মোতাবেক ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকেই নিম্নতম মজুরী পাওয়া বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্পে কর্মরত সব শ্রমিক ও কর্মচারীদের আইনগত অধিকার। কিন্তু নিম্নতম মজুরি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মালিকপক্ষের অনুরোধে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও কারখানা পর্যায়ের নেতারা কয়েকবার বৈঠক করেছে। বৈঠকে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নের জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়। অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক যে, মালিকপক্ষ তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ৫টি গ্রেড এ নির্দেশিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে অনীহা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষের গড়িমসির কারণে ট্যানারি শিল্পের শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী আইনগত প্রাপ্য বেতন পেতে অনর্থক বিলম্ব হচ্ছে যা শিল্পের সার্বিক স্থিরতা ও কল্যাণে মোটেও কাম্য নয়।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতি ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তিনটি সুপারিশ করেন।
সুপারিশ ৩টি হলো:
৫টি গ্রেডে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরী গ্রেড অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে হবে। গ্রেড কমানো বা একিভূত করার মতো বেআইনি উদ্যোগের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নির্দিষ্ট গ্রেডে কাজ করেও যেসব ক্ষেত্রে শ্রমিকরা গ্রেড অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না, সেই সব শ্রমিকদের গ্রেড অনুযায়ী বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিআইএফইয়ের পক্ষ থেকে পরিদর্শন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে; এবং আইন বহির্ভূতভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে যেকোনো ধরণের কাজে নিযুক্ত করা নিষিদ্ধ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ওএফএ/এআইএস