দুই ট্রাফিক সার্জেন্টকে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার

ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনের সময় বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে গাঁজাসহ এক মাদক কারবারি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছেন সার্জেন্ট বায়জিদ হোসেন ও সার্জেন্ট রানা পাল।
ট্রাফিকের নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এই উত্তম কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে তাদের হাতে এ পুরস্কারের অর্থ প্রদান করেন তিনি। এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
নিয়মিত ট্রাফিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সার্জেন্ট বায়জিদ হোসেন ও সার্জেন্ট রানা পালের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তা অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৮টায় কদমতলী থানার রায়েরবাগ এলাকায় ট্রাফিক দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক-ওয়ারি বিভাগের সার্জেন্ট বায়জিদ। দায়িত্ব পালনকালে তিনি জানতে পারেন কদমতলীর রায়েরবাগ এলাকার এসআর দরজা মেলা শো-রুমের সামনে এক ব্যক্তি অবৈধ মাদক বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছেন।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রেদোয়ান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন। আটকের পর তিনি কদমতলী থানাকে বিষয়টি অবহিত করলে তৎক্ষণাৎ থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে দুই কেজি ১২০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করে। এ ঘটনায় আটককৃত রেদোয়ানের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
অপরদিকে, গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ট্রাফিক শাহবাগ জোনে কর্মরত শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট রানা পাল পল্টনের ইউবিএল ক্রসিং এ দায়িত্ব পালনের সময় বিজয়নগর থেকে পল্টনের দিকে আসতে থাকা ভিক্টর ক্লাসিকের একটি বাস থেকে নামা যাত্রীর চিৎকার শুনে এগিয়ে যান এবং জানতে পারেন আল আমিন নামে ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোন শান্তিনগর মোড় থেকে এক ছিনতাইকারী ছিনতাই করেছেন। তিনি সেই ছিনতাইকারীকে অনুসরণ করে পল্টন মোড়ে এসেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী আল-আমিন। সার্জেন্ট রানা পাল তৎক্ষণাৎ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ওই স্থান হতে সন্দেহভাজন অবস্থায় মোবাইল ফোন ছিনতাইকারী হাসান মাহমুদকে (৩৫) আটক করতে সমর্থ হয়।
আটক হাসান মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করে। অতঃপর ছিনতাই হওয়া মোবাইল তার হেফাজত থেকে উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং আটককৃত হাসান মাহমুদকে শাহবাগ থানার টহল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেইউ/এমএন