কলাপাড়ায় রঙিন পানির ‘রহস্য’

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
নয়াদিল্লির মতো ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ গঠনের সুপারিশ
ভারতের নয়াদিল্লির মতো ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘রাজধানী মহানগর সরকার’ (ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট) গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
একই সঙ্গে কমিশন চারটি বিভাগকে চারটি প্রদেশ করার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া কমিশন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সংখ্যা কমানোর সুপারিশ করেছে। সুপারিশে মন্ত্রণালয় ২৫টি ও বিভাগ ৪০টি করার প্রস্তাব রয়েছে।
কালের কণ্ঠ
দেড় হাজার পর্যটনকেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ মাত্র ১৩০টিতে
দেশে পর্যটন খাতের পরিসর বাড়ছে। কিন্তু পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশের সক্ষমতা সেভাবে বাড়ছে না। দেশের প্রায় দেড় হাজার পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে মাত্র ১৩০টি স্পটে। যেসব পর্যটনকেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশ নেই, সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিদায়ি বছরে পর্যটনকেন্দ্রে বিভিন্ন অপরাধ মোকাবেলা করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কিন্তু কম জনবল নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে সংস্থাটি।
সমকাল
মাস্টাররোলের ৩১৭ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হয়নি আজও
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাস্টাররোলে কাজ করা ৩১৭ কর্মচারীর ১৫ থেকে ২০ বছরেও চাকরি স্থায়ী হয়নি। এ নিয়ে একাধিক রিট পিটিশন দায়ের করেছেন তারা। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাদের চাকরি স্থায়ী করার নির্দেশ দেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বিএডিসি।
কর্মচারীরা জানান, কৃষকের হাতে সার-বীজ আর মাঠে সেচ দেওয়ার দায়িত্ব বিএডিসির। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের গ্যাঁড়াকলে পড়ে সেই দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ৫ হাজার ২১৮ জনবল অনুমোদন থাকলেও ২ হাজার ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে কার্যক্রম চলছে। ২০১৭ সাল থেকে মাস্টাররোলে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। চাকরি স্থায়ী চেয়ে এসব কর্মচারী হাইকোর্টে রিটও করেন। চাকরি স্থায়ী করতে হাইকোর্টের রায়ের পরও বিএডিসির উপপরিচালক (আইন বিভাগ) ও যুগ্ম পরিচালক (নিয়োগ ও কল্যাণ) বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিগত সরকারের আমলে তাদের চাকরি স্থায়ী না করে উল্টো হয়রানি করে যাচ্ছেন। এ দুই কর্মকর্তা বলছেন, হাইকোর্টের রায় বিএডিসির চাকরির প্রবিধানমালার মধ্যে পড়ে না।
দেশ রূপান্তর
ঘটনার তদন্ত হয়, রিপোর্ট থাকে হিমঘরে
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার-মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে লুকোচুরি চলছেই। পুলিশের তিনটি ইউনিট এ মামলার তদন্ত করেছে। সর্বশেষ তদন্ত করছে পিবিআই। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১১৫ বার পেছানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে কী উদঘাটন করা হয়েছে, তা আজও জানতে পারেননি মামলার বাদী ও দেশবাসী। আগামী ২ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। এটির মতোই বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত প্রকাশিত হচ্ছে না। এসব মামলার শুধু তদন্তই করে যাচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
কালের কণ্ঠ
চলতি বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা ক্রমেই কমছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা, এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে প্রায় ২০ লাখ সম্ভাব্য নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়টি অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ভোটার তালিকা আইন অনুসারে এসব সম্ভাব্য ভোটার ২০২৬ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাবে।
আরও পড়ুন
প্রথম আলো
গ্যাসের দাম বাড়াতে ‘অবাস্তব’ আশ্বাস
বাড়তি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন দফায় গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে গত আওয়ামী লীগ সরকার। তবে আমদানি হয়েছে কম, এতে বাড়তি দাম দিয়েও গ্যাস পাননি গ্রাহকেরা। এখন এক বছরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ আমদানির কথা বলে শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম বাড়াতেই আমদানির অবাস্তব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
দেশে দুটি উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে দেশি গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন করে সরবরাহ করা হয় ৭৫ শতাংশ। আর ২৫ শতাংশ আসে আমদানি করা এলএনজি থেকে। দিনে সর্বোচ্চ ১১০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের অবকাঠামো আছে দেশে। যদিও কারিগরি কারণে পুরোটা ব্যবহার করা যায় না। এটি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১০৫ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ করা সম্ভব।
বণিক বার্তা
অপরাধের অর্থনীতি আবারো সক্রিয় হচ্ছে
১৯৬৯ সাল। অনেকটা আকস্মিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ ডলারের ওপরের সব নোট বাতিলের ঘোষণা দেয় রিচার্ড নিক্সন প্রশাসন। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকট তৈরি করছিল কালো টাকার দৌরাত্ম্য। নিক্সন প্রশাসনের এ ঘোষণায় দেশটির অর্থনীতিতে কালো টাকার প্রবাহে বড় ধরনের ছেদ পড়ে যায়। একই সঙ্গে দেশটির ব্যাংক খাতের অগ্রগতিও ত্বরান্বিত হয় বলে দাবি করা হয়। এখনো বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মূল্যমানের নোট ১০০ ডলারের।
যুগান্তর
দেশের আর্থিক খাতে বেপরোয়া দুর্নীতি ও জালিয়াতি করেছেন সদ্য গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। যিনি ছিলেন শেয়ারবাজারে অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক। কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার, জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসইসিতে ১২৭ জনকে নিয়োগ, পর্ষদ ভেঙে দিয়ে কোম্পানি দখল, ভুয়া বাড়িভাড়া ও রপ্তানি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আয়, ক্ষমতার অপব্যবহার নিশ্চিত করতে সাবেক আইজিপিকে ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের ভুয়া ভর্তি করান এই অধ্যাপক। এরকম সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কারণে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে তিনি ‘রাক্ষস শিবলী’ হিসাবে বেশি পরিচিত। আর তার এই দুর্নীতি করার পেছনে সহায়তাকারী হিসাবে ছিল মাফিয়া চক্র। জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন যুগান্তরকে বলেন, শিবলী রুবাইয়াতের মেয়াদকাল শেয়ারবাজারে সবচেয়ে অন্ধকার সময় ছিল। এই বাজারে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে পুরো শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক শৃঙ্খলা ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিনিয়োগকারীরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চান। তার মতে, শিবলী রুবাইয়াতের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে সুশাসনের বার্তা দেওয়া উচিত।
সমকাল
দখলি জমি উচ্ছেদে গেলেই গন্ডগোল
সরকারি জমি দখলে রেখে কোটি টাকার ব্যবসা করছে উত্তরাঞ্চলের আট শতাধিক পেট্রোল পাম্প। শুধু তাই নয়, প্রায় এক দশক লিজ নবায়ন করেনি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বারবার তাগাদা দিলেও নড়চড় নেই। উচ্ছেদে গেলেই দখল টিকিয়ে রাখতে মালিকরা জিম্মি করেন গ্রাহকদের।
যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ উত্তরাঞ্চলে ধর্মঘট ডাকে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। ফলে গতকাল বুধবার সকাল থেকে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ব্যাহত হয় সেচকাজ। প্রায় ৯ ঘণ্টা ভুগিয়ে বিকেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উত্তরবঙ্গের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, বগুড়া জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন তারা। যদিও জেলা প্রশাসক হোসনে আফরোজ বলেছেন, অবৈধ দখল উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে।
প্রথম আলো
তরল পদার্থে ভরা বোতল দুটি পাশাপাশি রাখা। রং প্রায় একই; কিন্তু তরল দুটি ভিন্ন। বোতল দুটির ঢাকনা সরিয়ে নাকের কাছে নিতেই একটিতে পেট্রলের গন্ধ পাওয়া গেল। অপরটিতে কোনো গন্ধ নেই। গন্ধহীন বোতলটিতে আসলে খাওয়ার পানি রাখা। পটুয়াখালীর কলাপাড়াবাসী বেঁচে আছেন পেট্রলের মতো হলদেটে এই পানি খেয়ে।
জানা গেল, এই অদ্ভুত রঙের পানি ওঠে গভীর নলকূপ থেকে। যুগের পর যুগ খাওয়া, রান্না, গোসলসহ গৃহস্থালির সব কাজে নিয়মিত এই পানি ব্যবহার করছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মানুষ। পানির এই রঙের সঙ্গে তাঁরা এমনভাবে অভ্যস্ত, যেন পানির এটাই আসল রং। মোস্তাক মিয়া নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা তো বলেই বসলেন, কলাপাড়ার গভীর নলকূপের পানির মতো মিঠাপানি তিনি আর কোথাও খাননি।
কালের কণ্ঠ
অন্তর্বর্তী সরকারের ২২ জন উপদেষ্টার মধ্যে অন্তত ১০ জন তাঁদের আগের বাড়িতেই রয়েছেন। মন্ত্রিপাড়ার বাংলোসহ সরকারি বাসায় উঠেছেন ১২ জন। সরকারি বাংলোর বরাদ্দ পেলেও ওঠেননি ১০ জন। তাঁরা আগের বাসায় বসবাসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
তবে যেসব উপদেষ্টা নিজ বাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে থাকছেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বাসাভাড়া দেওয়া হচ্ছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি আবাসন পরিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বণিক বার্তা
গ্রীষ্মে লোডশেডিং হতে পারে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট
আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে ৭০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তবে রমজান মাস লোডশেডিংমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাস যাতে লোডশেডিংমুক্ত রাখা যায় আমরা সেই চেষ্টা করব। তার অর্থ এই নয় যে লোডশেডিং হবে না। এটা নানা কারণে হতে পারে। কখনো বিতরণ লাইন আবার কখনো সঞ্চালন ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে লোডশেডিং হতে পারে। আমরা ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করব।’
এছাড়া রাশিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা জেরিনকে গ্রেপ্তার; ছাত্রলীগের বিচার দাবিতে ছাত্রদলের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
