ঢাকায় বায়ুদূষণ কমার লক্ষণ নেই, জানুয়ারিতে ভয়াবহ

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
হাসিনার বক্তব্য ঘিরে ক্ষোভ: বিভিন্ন জেলায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় উদ্বেগ
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তিন দিন ধরে বিভিন্ন স্থাপনা ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভীতির সঞ্চার হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুই দিনে তিনটি বিবৃতি দিতে হয়েছে।
দেশে এমন একটা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসের মাথায়, যখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছিল।
বণিক বার্তা
মব জাস্টিসের আতঙ্কে পুলিশ ও জনগণ, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ সব মহলের
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাসেও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ কাটেনি। যদিও গণ-অভ্যুত্থানের পর কর্মস্থল ছেড়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের কাজে ফিরিয়ে এনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে বেশকিছু উদ্যোগ। দুই দফায় পরিবর্তন আনা হয়েছে বাহিনীটির শীর্ষ পদে। ঢেলে সাজানো হয়েছে থানা থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও। তবে এতসব উদ্যোগের পরও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এখনো দৃশ্যমান নয়। বিশেষ করে একের পর এক মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত পুলিশসহ সাধারণ জনগণ। আবার হেফাজতে মৃত্যু, অপহরণ, ছিনতাই ও পুলিশ আক্রান্তের ঘটনাও বেড়ে চলেছে।
আজকের পত্রিকা
তেল পরিবহন আ.লীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রণেই
আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মালিকানাধীন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিসির বহরে তেল পরিবহনে জাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা ১৭৭ জাহাজের মধ্যে ১১৮টিই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
যুগান্তর
হিসাব মিলছে না প্রত্যাশা প্রাপ্তির
অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পার হয়েছে। এ সময়ে সংস্কার কমিশন গঠন, ভঙ্গুর অর্থনীতি চাঙ্গার চেষ্টায় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যাসহ দাবির মিছিলে শ্লথ হয়েছে সরকারের অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গতি। এছাড়া নানা ধরনের চক্রান্তের মুখোমুখি হয়েছে সরকার। ছয় মাসে বড় একটা সময় প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় পার করতে হয়েছে। এসব কারণে সরকার জনজীবনে সেভাবে স্বস্তি ফেরাতে পারেনি। সরকারের ওপর রাজনৈতিক দল ও জনগণের পুরোপুরি সমর্থন আছে। কিন্তু তাদের কাছে মানুষের যে প্রত্যাশা, তার প্রতিফলন দৃশ্যমান হয়নি। ফলে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে পারছে না জনগণ।
প্রথম আলো
গণ-অভ্যুত্থানের ৬ মাস: সাবেক ৩৫ মন্ত্রী, ৪৩ এমপি গ্রেপ্তার
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ২৭ জন মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের পাঁচজন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। গ্রেপ্তার হয়েছেন তিন উপদেষ্টাও। এর বাইরে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন হাসিনা সরকারের সাবেক ৪৩ সংসদ সদস্য ও সাবেক ১১ জন আমলা।
এ ছাড়া পুলিশের সাবেক দুজন মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) ২৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। পাশাপাশি আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি ও পাঁচজন সাংবাদিকও গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বণিক বার্তা
তিউনিসিয়ার মতো খাদে পড়তে যাচ্ছে কি বাংলাদেশ
‘জেসমিন বিপ্লব’ নামে পরিচিত এ ঘটনা দেশটিতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোয় পরিবর্তনের ব্যাপক আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। যদিও অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের পরিবর্তে জনতুষ্টি অর্জনেই মনোযোগী ছিল বেশি। দেশটির সরকারের এ জনতুষ্টিবাদের চর্চা তিউনিসিয়ায় নতুন করে উসকে দেয় ঘৃণা ও সংঘাতের চর্চাকে। দেখা দেয় এক দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীলতা।
কালের কণ্ঠ
মধুচন্দ্রিমা শেষ, রাজনৈতিক স্থিতি অনিশ্চিত
আজ ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পলায়নের পর গত ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নানা চ্যালেঞ্জ আর সংকটের মধ্যে রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের গুরুদায়িত্ব এই সরকারের ওপর। রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের মুখেও সরকার এ বিষয়ে এখনো স্পষ্ট পথনকশা ঘোষণা করেনি।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
অভ্যুত্থান নয় আইএমএফ নির্ধারণ করছে অর্থনীতির নীতি পদক্ষেপ
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। এ ছয় মাসের পুরো সময়ে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল দুই অংকের ঘরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রেসক্রিপশনে নেয়া সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবসা, বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তা কোনোভাবেই কাজে আসেনি। সংস্থাটির প্রেসক্রিপশনে রাজস্ব বাড়াতে জরুরি বেশকিছু খাতে আরোপ করা হয়েছে ভ্যাট। তাতে রাজস্ব না বাড়লেও মূল্যস্ফীতির নাভিশ্বাস আরো চেপে বসেছে। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিগত ছয় মাসে গণমুখী কোনো সংস্কার ঘটেনি। বিগত সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ নীতিপদক্ষেপগুলো আইএমএফের প্রেসক্রিপশননির্ভর রয়ে গেছে।
প্রথম আলো
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অর্থনীতি গভীর খাদে পড়ে যাচ্ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে সেই পতন ঠেকানো গেছে। কিছু ক্ষেত্রে উন্নতিও আছে। তবে অর্থনীতিতে পুরো স্বস্তি এখনো ফেরেনি। বিনিয়োগ পরিবেশ ও কর্মসংস্থান নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়, এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি।
ছয় মাসেও নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যায়নি। বেড়েছে প্রধান খাদ্যশস্য চালের দাম। ফলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ রয়ে গেছে। এর মধ্যে আবার শতাধিক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ানোয় এ চাপ কিছুটা বেড়েছে।
সমকাল
রপ্তানি রেমিট্যান্স ছাড়া সবকিছুতেই অস্বস্তি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর টালমাটাল পরিস্থিতিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নেই। মূল্যস্ফীতি আগের মাসগুলোর তুলনায় সামান্য কমলেও, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষকে ভোগাচ্ছে।
ছাত্রদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো এবং সরকার জাতীয় ঐকমত্যের কথা বললেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসেনি। সরকারের কাজে গতিহীনতার জন্য একাধিক উপদেষ্টাসহ অনেকেই দায়ী করছেন জনপ্রশাসনের স্থবিরতাকে। অন্যদিকে বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতি, চাকরি স্থায়ীকরণ, নিয়োগসহ সরকারি চাকরিজীবীদের নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন মোকাবিলা করতে হচ্ছে সরকারকে।
বণিক বার্তা
আর্থিক ও পরিচালন দক্ষতায় বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে
দেশের গ্যাস খাতে বিগত তিন অর্থবছরে ধারাবাহিকভাবে ভর্তুকি ছিল ৬ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ভর্তুকির প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এক বছরের ব্যবধানে গ্যাস খাতে ভর্তুকি এত বেড়ে যাওয়ার কারণ মূলত উচ্চ দামে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়ে দেয়া। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিল ব্যয়সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহার করে এ খাতের ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ। কিন্তু বর্তমান সরকারের ছয় মাস অতিবাহিত হতে গেলেও গ্যাসের আমদানি, সরবরাহ সংকট, বকেয়া, ভর্তুকি, ক্যাপাসিটি চার্জ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বরং বিগত সরকারের দেখানো পথে হেঁটে এ খাতে আরো বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে বলে মনে করেন জ্বালানি খাত বিশেষজ্ঞরা।
প্রথম আলো
ঢাকায় বায়ুদূষণ কমার লক্ষণ নেই, জানুয়ারিতে ভয়াবহ
শুকনা মৌসুমে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ প্রতিবছর বেশি থাকে; কিন্তু এবারের শুকনা মৌসুমে বায়ুদূষণের রেকর্ড ভাঙছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস শুকনা মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। নভেম্বরে ঢাকার বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করে। সর্বশেষ নভেম্বরে বায়ুদূষণ ছিল আগের আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বরও বায়ুদূষণ ছিল আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে বায়ুদূষণ আগের আট বছরকে ছাড়িয়ে গেছে।
জানুয়ারি মাসের দূষণের এ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাওয়া গত ৯ বছরের (২০১৭ থেকে ২০২৫) বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে ক্যাপস। প্রতিষ্ঠানটি গতকাল বৃহস্পতিবার এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা / বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে; হাওয়ার নৌকা ও গেমঘর মৃত্যুফাঁদ; আলজাজিরার বিশ্লেষণ / কেন ৩২ নম্বরে আগুন দিল জনতা; ৩২ নম্বরের কংক্রিট ভেঙে রডও নিয়ে যাচ্ছে মানুষ; শেখ পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস থেকে বিরত থাকার আহ্বান; বাসসকে আসিফ মাহমুদ / আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে পদক্ষেপ শিগগির; আবারও বরিশাল চ্যাম্পিয়ন; সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার চেষ্টা, আহত ১৫ —সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
