মৎস্যজাত খাদ্য গ্রহণে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ

দেশের সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে মৎস্যজাত খাদ্য গ্রহণে গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে টেকসই খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা, পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতের সঙ্গে খাপ খাওয়া, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে মৎস্যজাত ও জলজ বৈচিত্র্যময় খাবার গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং ওয়ার্ল্ডফিশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ একুয়াটিক ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ইভেন্টে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা।
আসন্ন ‘জাতিসংঘ ফুড সিস্টেম সামিট ২০২১’ কে সামনে রেখে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং খাদ্য ব্যবস্থা সংলাপের জাতীয় আহ্বায়ক খাজা আব্দুল হান্নান।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ফিশের মহাপরিচালক ড. জনস্টোন গ্যারেথ। তিনি বলেন, জলজ খাবার বাংলাদেশের নারী, শিশু নির্বিশেষ সব মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে। মলা ও কার্পের মিশ্র চাষ, মাছ ও অন্যান্য জলজ খাদ্য বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থাগুলোর রূপান্তরে মূল নিয়ামক হতে পারে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ইলিশ ব্যবস্থাপনার ফলে ইলিশের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং জেলেদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে।
আলোচনায় অংশ নেন ২০২১ সালের বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার বিজয়ী এবং ওয়ার্ল্ডফিশের পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গ্লোবাল লিড ড. শকুন্তলা হরাকসিংহ থিলস্টেড। তিনি জলজ খাদ্য সিস্টেমে রূপান্তরের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পুষ্টিকর ও মাছভিত্তিক বৈচিত্র্যময় খাবার গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রবার্ট সিম্পসন। সব শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ড. মুটিসুঙ্গিলিরে কচুলু।
এসকেডি