তথ্য সার্ভিসকে একক সার্ভিসে একীভূত করা হলে তা অকার্যকর হতে পারে

বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের ভিন্ন প্রকৃতির তিনটি গ্রুপ যেমন- সাধারণ, অনুষ্ঠান ও বার্তাকে একীভূত করে বাংলাদেশ তথ্য সার্ভিস নামে সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। তবে এগুলোকে কোনো একক সার্ভিসে একীভূত করা হলে তা একটি অকার্যকর সার্ভিসে পরিণত হতে পারে বলে মনে করে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রণীত সংস্কার প্রতিবেদনের প্রতি বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের সদস্যদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে ভিন্ন প্রকৃতির তিনটি গ্রুপ সাধারণ, অনুষ্ঠান ও বার্তা-কে একীভূত করে বাংলাদেশ তথ্য সার্ভিস নামে যে সার্ভিস গঠনের কথা বলা হয়েছে, তাতে এ ক্যাডারের সদস্যদের উদ্বেগের কারণ রয়েছে। গ্রুপ তিনটির কর্মপ্রকৃতি এতটাই ভিন্ন যে এগুলোকে কোনো একক সার্ভিসে একীভূত করা হলে তা একটি অকার্যকর সার্ভিসে পরিণত হতে পারে।
এ বিষয়ে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন জনস্বার্থে কিছু তথ্য তুলে ধরে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব তথ্যের আলোকে বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের সঙ্গে বাংলাদেশ বেতারের কোনো অংশকে একীভূত করা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কাজের মান বৃদ্ধি, কর্মকর্তাদের কল্যাণ কিংবা জনস্বার্থ কোনোটির জন্যই যৌক্তিক বলে প্রতীয়মান হয় না। বিদ্যমান বাস্তবতায়, কেবল বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) গ্রুপকে নিয়ে বাংলাদেশ তথ্য সার্ভিস করা যায়। পাশাপাশি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের নামের সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য একটি স্বতন্ত্র সম্প্রচার সার্ভিস গঠন করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারের সুবিবেচনা প্রত্যাশা করছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারসহ সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সংস্কার কর্মসূচিসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদানে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্য বদ্ধপরিকর।
এসএইচআর/এমজে