রান্না করা খাবারও যেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানো যায়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডাক বিভাগকে আরও বেশি সেবামুখী হতে হবে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে রান্না করা খাবারও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো যায়।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডাক অধিদফতরের নবনির্মিত ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর মানুষ এখন বেশিরভাগ কেনাকাটা অনলাইনে করছে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল তরিতরকারি এগুলো যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায়। সেই ধরনের কুলিং সিস্টেম থাকতে হবে। যাতে সেখানে জিনিস নষ্ট না হয়। প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে সেন্টার থাকবে। সেখান থেকে মানুষ তাদের পণ্যের ডেলিভারি নেবে। ছোট ছোট পোর্টেবল কুলিং বক্স ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে হবে পণ্য। এখন সেই ব্যবস্থাটাই আপনাদের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮টি মডেল ডাকঘর নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। আমি চাইবো সারা বাংলাদেশে এটা করে দিতে। তাহলে মানুষ বিশেষ করে, ঘরে বসে অনেকে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবে। মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হবে মানুষ সেবাও পাবে। সেই ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে ডাকঘরগুলোয় চেম্বারও করতে হবে, যাতে পণ্য ভালো রাখা যায়। রান্না করা খাবারও যেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো যায়। এজন্য কুলিং ও ফ্রিজিং সিস্টেম করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, এখন বেশিরভাগ ব্যবসা চলছে অনলাইনে। যেহেতু অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় জনপ্রিয় হয়েছে। তাই ডাক বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে হবে না। ডাক বিভাগের এ ব্যাপারে আরও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডাকের সিস্টেমটা শুধু ডিজিটালাইজড করা নয়। এটা যাতে আরও মানুষকে সেবা দিতে পারে সে জন্য ১১৮টি মেইল গাড়ি সংযোগ করেছি। তাছাড়া গাড়ি চালানোর জন্য নারী-পুরুষদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। এখন মেয়েরাও ট্রেন চালায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পচনশীল পণ্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহনের জন্য এয়ার কুলিং সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিচ্ছি। যাতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পণ্য ভালো থাকে। শুধু গাড়ি কিনলে হবে না চেম্বারও দরকার। সেজন্য ডাকঘরগুলোয় যেন কুলিং সিস্টেম চেম্বার থাকে সে ব্যবস্থাও করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৪টি অত্যাধুনিক মেইল প্রসেসিং এবং লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রাথমিকভাবে এটা জেলা এবং বিভাগীয় শহরে করে দিচ্ছি। ডাক বিভাগকে বলব, আপনাদের লক্ষ্য থাকবে একেবারে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত অর্থাৎ ডাকঘর যেখানে যেখানে আছে সেখানে এ ধরনের সেবা চালু করা।
এইউএ/এসকেডি