উচ্চশিক্ষায় উপেক্ষিত মাতৃভাষা

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
রাজউকের প্লট: হাসিনার আনুগত্যের পুরস্কার পেয়েছেন ব্যবসায়ী আইনজীবী শিল্পী শিক্ষক ও সাংবাদিকেরা
ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মতো কেরানীগঞ্জে রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পেও ‘অনুগত ও তোষামোদকারীদের’ মূল্যবান প্লট দিয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারি চাকরি, জনসেবা ও সমজাতীয় খাতে জাতীয়ভাবে ‘অসামান্য অবদানের’ নামে ঝিলমিলে দেওয়া প্লট সংখ্যা অন্তত ২০৬।
অসামান্য অবদানের নামে প্লট পাওয়া ব্যক্তিদের একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম আবদুস সোবহান। ২০১৩ সালে তাঁকে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে সংরক্ষিত কোটায় তিন কাঠার একটি প্লট দেওয়া হয়। তিনি প্রথম মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
আজকের পত্রিকা
ভূঞাপুরে ১০০ বিয়ের ৩৬টিই গড়াচ্ছে বিচ্ছেদে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় সাম্প্রতিক বিবাহবিচ্ছেদের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ১০০টি বিয়ের মধ্যে প্রায় ৩৬টি বিচ্ছেদে গড়াচ্ছে, যা সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
উপজেলা ও পৌর কাজি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৮৩৭টি বিয়ে হয়েছিল, যেখানে ৩১৯টির বিচ্ছেদ হয়। এক বছর পর ২০২৪ সালে বিয়ে বেড়ে ৯২৯টিতে পৌঁছালেও বিচ্ছেদের সংখ্যাও বেড়েছে ৩৩৭টি। অর্থাৎ, ভূঞাপুরে মোট বিয়ের তুলনায় বিচ্ছেদের হার ৩৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
সমকাল
গণহত্যায় নেই আ’লীগের এমন নেতা পাবেন ক্ষমা!
জুলাই গণহত্যা, গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত নন, এমন আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমা চাইলে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পেতে পারেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর প্রস্তাবে এ রকম চিন্তাভাবনাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারাও অপরাধী নন, এমন নেতাকে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দিতে ‘রিডিম এবং রিকনসিলিয়েশন’-এ রাজি। তবে আপত্তি রয়েছে বিএনপির তরফ থেকে। দলটি ছাত্রনেতাদের এ চাওয়াকে নতুন দল গঠনের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখছে। জামায়াতের ভাষ্য, আগে দায়ীদের চিহ্নিত ও বিচার করা হোক; তারপর ক্ষমার চিন্তা হতে পারে।
ইত্তেফাক
ভূমিসংক্রান্ত সেবা নিতে ১৬ জেলার মানুষকে আসতে হবে ঢাকায়
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) ভূমির নামজারি, হস্তান্তর, ঋণ অনুমতি, যৌথ নির্মাণ, খণ্ডজমি বরাদ্দ ইত্যাদি সেবা নিতে এখন গ্রাহকদের আসতে হবে রাজধানী ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে। যেটি আগে ১৬টি জেলা কার্যালয় থেকে নিষ্পত্তি হতো। সম্প্রতি একটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। জাগৃক বলছে, বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এটি করা হয়েছে। অন্যদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ, জাগৃকের সেবা গ্রহণের হয়রানি ঘটনা বহুদিন ধরেই চলছে। আগে স্থানীয় পর্যায়ে ছিল, এখন সেটি ঢাকায় আনা হয়েছে। এখানে আরও যাতায়াত, হোটেল ভাড়া ও কাজ সাপেক্ষে টাকা দেওয়ার হয়রানি বহুগুণ বেড়ে গেল। এটি করার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এখন ঢাকায় এসে ঘুরতে হবে দিনের পর দিন।
বণিক বার্তা
আরও পড়ুন
সরকারের বিদেশী ঋণ পরিশোধ খরচ বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে এ বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৮০ বিলিয়ন (৮ হাজার কোটি) ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকার নতুন বিদেশী ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে ২০০ কোটি ডলারের বেশি। এ সময় বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের অর্থ ছাড় হয়েছে ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন (৩২৬ কোটি) ডলারের কিছু বেশি। এ ছয় মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে প্রায় ১৯৮ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল পরিশোধ হয়েছে ১২৩ কোটি ৪২ লাখ ডলারের বেশি। বাকি প্রায় ৭৫ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে সুদ বাবদ।
মানবজমিন
কারচুপির নীলনকশার মাস্টারমাইন্ড যারা
পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কিত এক ভোট। নজিরবিহীন এক নির্বাচন। নীশিরাতের ভোট হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে দেশ-বিদেশে। ২০১৮ সালে হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এমন চিত্র দেখে হতবাক সবাই। মধ্যরাতে অর্ধেক ভোট শেষ। তারপরও দিনের বেলায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্রে ভোটারদের ওপর হামলা, শত শত জালভোট, প্রার্থীদের তুলে নেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া, প্রকাশ্যে ব্যালটে শত শত সিল মারা, হত্যা, মারধর, জবরদখল এমন কিছু নেই- যা এ নির্বাচনে ঘটেনি। এ নির্বাচনে স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি কথায় বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেছিলেন-আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। একবার আমাকে বিশ্বাস করে দেখুন। নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে কেমন সুন্দর হয় তা দেখতে পাবেন। বিরোধী দলগুলো তার কথা বিশ্বাস করেছিলেন। আর সেই বিশ্বাসের ফল পেয়েছিলেন শূন্য হাতে। নির্বাচনের পরদিন শেখ হাসিনা বুক ফুলিয়ে বলেছিলেন দেশবাসী আওয়ামী লীগের ওপর বিশ্বাস রেখেছে।
দেশ রূপান্তর
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার নামে নয়ছয়
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনা সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণে ২০১৭ সালে একটি প্রকল্প নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কিন্তু এ অর্থ কোন কোন খাতে, কী প্রক্রিয়ায় ব্যয় করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির বিষয়ে দেওয়া হয়েছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। প্রকল্পের ডিপিপিতে বিদেশ সফরের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও ১৬ জন বিদেশ ভ্রমণ করেছেন প্রকল্পের অর্থে। প্রকল্প গ্রহণের আগে করা হয়নি সম্ভাব্য যাচাই। ক্রয়-সংক্রান্ত বিষয়েরও সঠিক হিসাব উত্থাপন করা হয়নি। এমন অসংখ্য অনিয়ম হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পে।
আজকের পত্রিকা
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন দল নিয়ে শক্ত অবস্থানে বিএনপি
সংস্কার ও ভোট নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপির টানাপোড়েন চলছে আগে থেকেই। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণার আগে এই সংঘর্ষে দুই পক্ষে উত্তেজনার আভাস মিলছে। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বুধবার সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করলে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।
যুগান্তর
দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এতে বাংলা ভাষার ব্যবহার ও পঠন-পাঠন দিন দিন কমছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিভাগে ইংরেজি মাধ্যমে পাঠদান করা হচ্ছে। চিকিৎসা, প্রকৌশল বিদ্যার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও ব্যবসায় অনুষদের বিষয়ভিত্তিক বইগুলো ইংরেজিতে লেখা। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম এবং পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন ইংরেজি মাধ্যমে হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। কলা অনুষদে কিছু বিষয় বাংলা মাধ্যমে পড়ানো হলেও সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদে ঠিকই শিক্ষার্থীদের ওপর ইংরেজির খক্ষ চাপানো হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ। সেখানে প্রায় শতভাগ ইংরেজি পাঠ্যক্রমে পড়ানো হয়। লেখাপড়া বাজারমুখী কাঠামোর কারণে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য যেন অনেকটাই নির্বাসনে। সাধারণত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই ভাষাকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ ঘটে বেশি। অথচ উচ্চশিক্ষায় দিন দিন বাংলার চর্চা কমছে। বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ইংরেজিতে। কার্যত উচ্চশিক্ষায় বড় সংকটে রয়েছে মাতৃভাষা।
প্রথম আলো
গ্রীষ্মে এবারও ভোগাতে পারে লোডশেডিং
শীতের শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। মার্চে এটি আরও বাড়তে পারে। যদিও চাহিদার সঙ্গে মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকলেও তা পুরোপুরি কাজে লাগছে না। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অল্প সময়ের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। তবে রোজার মাসে ভোগাতে পারে নিয়মিত লোডশেডিং।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র বলছে, গ্রীষ্ম সামনে রেখে মার্চে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার এবং এপ্রিলে ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ধরা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ১২ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে। এবার এটি ১৩ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে। ঘাটতি পূরণে গত তিন বছরের মতো এবারের গ্রীষ্মে লোডশেডিং করতে হতে পারে।
সমকাল
পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ছাত্র শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন পুলিশের গুলিতে মারা যান। কিন্তু বাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতেও পুলিশের হাতে ইয়ামিনের মৃত্যুর প্রমাণ মিলেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাভারে গত ১৮ জুলাই ইয়ামিনকে হত্যা করা হয়।
পুলিশের এমন প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ এমআইএসটির শিক্ষার্থীরা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এর সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন তারা। এ হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়ে দ্বিতীয় দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে সাভার থানায় করা মামলার অগ্রগতির তথ্য আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
মানবজমিন
এখনো দৃশ্যমান সেতু ভবনের ধ্বংসযজ্ঞ। নিচ থেকে ছয়তলা পর্যন্ত বিধ্বস্ত রূপে দাঁড়িয়ে আছে। ভাঙা কাচ আর আগুনে পোড়া কালচে দাগ এখনো রয়েছে। বাহির থেকে দেখলে মনে হয় ১২তলা ভবনটির অর্ধেক পরিত্যক্ত। তবে ভেতরে স্বাভাবিক কাজ করছেন কর্মকর্তারা। ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সাত মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত সম্পূর্ণ হয়নি। সূত্র জানায়, ভবনটি মেরামতের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি মেরামত করতে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল জিনিসপত্রের মেরামতের জন্যই খরচ হচ্ছে ২০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আর ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত করা হবে ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো অংশ।
দেশ রূপান্তর
পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিচার শেষ হয়নি ছয় বছরেও। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই আগুনের ঘটনায় নারী-পুরুষ-শিশুসহ ৭১ জন মারা যায়। আহত হয় শতাধিক মানুষ। পরে নিহত জুম্মানের ছেলে আসিফ আহমেদ বাদী হয়ে ভবন মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। কিন্তু এখনো বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় নিহত স্বজনদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এমনকি বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আসামিরা।
আজকের পত্রিকা
৮ মাস ধরে বেতন নেই ১৪ হাজার কর্মীর
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধের অভাবও দেখা দিয়েছে কোথাও কোথাও।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)’ নামে এই ওপি গত বছরের জুনে শেষ হলেও নতুন পর্ব শুরু হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ১৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এখন অধীর আগ্রহে তারই পথ চেয়ে আছেন।
বণিক বার্তা
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জটে রমজানে পণ্য সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি পণ্য আমদানি হয় রমজানে। প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও এবার রেলপথ পরিবহন জটিলতায় সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত রেলের পণ্য পরিবহন খাতের লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) দিয়ে একের পর এক যাত্রীবাহী সার্ভিস চালু করায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনার স্থানান্তরে প্রয়োজনীয় ট্রেন পাওয়া যাচ্ছে না। এতে দিন দিন জট বাড়ছে বন্দরের ডিপোতে।
জানা গেছে, রেলের পণ্য পরিবহনের জন্য নির্ধারিত ইঞ্জিনগুলো সরিয়ে নেয়ায় বন্দর থেকে কনটেইনারবাহী ট্রেনের সংখ্যা অস্বাভাবিক কমে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিদিন পাঁচটি (উভয় মুখে পাঁচ জোড়া) ট্রেনের চাহিদা থাকলেও রেলওয়ে দিতে পারছে কেবল একটি (উভয় মুখে এক জোড়া)। ফলে প্রতিদিনই ডিপোতে জমছে আমদানি পণ্য। দ্রুত ইঞ্জিন বরাদ্দ দিয়ে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক করা না গেলে আসন্ন রমজান ও ঈদে দেশব্যাপী দেখা দিতে পারে ভোগ্যপণ্য সংকট। এমনকি আমদানি করা কাঁচামাল বন্দরে আটকে থাকায় গার্মেন্টসসহ অন্যান্য রফতানি পণ্য উৎপাদন শেষে সময়মতো শিপমেন্ট নিয়েও শঙ্কিত রফতানিকারকরা।
এছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসি ওএসডি; খালেদা জিয়া মামলামুক্ত; সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ / ছাত্রদলের হামলা বলে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা হয়েছে; উত্তাল কুয়েট, নিষিদ্ধই থাকছে ছাত্ররাজনীতি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
