শেষ হলো ৩ দিনের তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম

সীমিত ও মূল্যবান তরঙ্গের (স্পেকট্রাম) যথাযথ ব্যবহার, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় করণীয়সহ টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ৩ দিনব্যাপী তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় সমাপনী অধিবেশনের মধ্য দিয়ে এই সিম্পোজিয়ামের কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই সিম্পোজিয়াম যৌথভাবে আয়োজন করেছে এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটি (এপিটি) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ৩ দিনে ১১টি সেশনে মোট ৩৮টি টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ উপস্থাপনা করা হয়।
সমাপনী অধিবেশনে বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহমুদ হোসেন অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সিম্পোজিয়াম জুড়ে ব্যান্ডউইথের ক্রমবর্ধমান চাহিদা থেকে শুরু করে জাতীয় স্পেকট্রাম কৌশল তথা মূল্যবান তরঙ্গের দক্ষ, ন্যায়সঙ্গত ও উদ্ভাবনী ব্যবহার, আঞ্চলিক সহযোগিতা, সম্প্রীতি এবং একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তাকে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। একইসাথে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় এপিটির প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিম্পোজিয়ামের প্রথম দিনে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, জাতীয় তরঙ্গ কৌশলের উন্নয়ন ও এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে গৃহীত কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। দ্বিতীয় দিনের প্রথমার্ধে বিভিন্ন পরিষেবা ও অ্যাপ্লিকেশনের জন্য স্পেকট্রাম চাহিদা, জাতীয় তরঙ্গ কৌশল সংক্রান্ত প্রস্তুতি, দীর্ঘমেয়াদি স্পেকট্রাম রোডম্যাপ মূল্যায়নে করণীয় এবং দ্বিতীয়ার্ধে লাইসেন্স প্রদান, স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণ সম্পর্কিত বর্তমান নীতি পর্যালোচনা, স্যাটেলাইট টেকনোলজি, ৫জি, ৬জি এবং নতুন প্রযুক্তির জন্য তরঙ্গ নিলাম নিয়ে আলোচনা হয়।
আর সিম্পোজিয়ামের তৃতীয় দিনের প্রথমার্ধে ক্রস বর্ডার তরঙ্গ সমন্বয়, সদস্য দেশসমূহের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয় তরঙ্গ কৌশলে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংগস ব্যবহারের দিক আলোচনা হয়।
বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ইরান, অষ্ট্রেলিয়া, মঙ্গোলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, ভানুয়াতু, সামোয়া, টোঙ্গো এবং লাওসের রেগুলেটরি সংস্থার প্রধান, টেলিকম অপারেটর, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, টেলিকম বিশেষজ্ঞের ২০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
এছাড়া, এপিটির সহযোগী সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অংশগ্রহণ করেছে জাপানের কেডিডিআই কর্পোরেশন, গ্লোবাল স্যাটেলাইট অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন, অ্যামাজন, মেটা, স্টারলিংক, কোয়ালকম ইন্ডিয়া, হুয়াইয়ে টেকনোলজিস, টেলিনর এশিয়া, অষ্ট্রেলিয়ার উইন্ডশোর প্যালেস কনসাল্টিং, জাপানের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, সিঙ্গাপুরের ক্যাসিও ও ইনমারেস্ট এবং জিএসএমএ (হংকং)।
আরএইচটি/এমএ