দেড়শ স্কুলকে কেউ ‘পছন্দ’ করেনি

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
কমিটির আকার বাড়বে, লক্ষ্য তৃণমূলে বিস্তৃতি
সদ্য আত্মপ্রকাশ হওয়া তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির আকার আরও বাড়বে। দল ঘোষণার পর আপাতত তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী হবে দলটি। এর আগে ঘোষিত জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিগুলো থেকে নেতা-কর্মীদের দলে কীভাবে যুক্ত করা হবে, সেই কৌশল শিগগিরই আলোচনা করে ঠিক করবে নতুন দল। পাশাপাশি বক্তব্য-বিবৃতিসহ নিজেদের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে আরও সচেতন হবেন দলটির নেতারা।
গত শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এনসিপির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের পর গতকাল শনিবার দলটির শীর্ষস্থানীয় চার নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, দল ঘোষণার পরও জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যক্রম চলমান থাকবে। শিগগিরই এই দুই প্ল্যাটফর্মের কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। তাদের সঙ্গে দলের কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক থাকবে না, দলের কার্যালয়ও হবে আলাদা।
সমকাল
বাধার পরও ৬০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
রোহিঙ্গা ও মাদককে সমস্যা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাধার পরও ৬০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা নতুন করে ঢুকে পড়েছে। অনেক সময় মানবিক কারণে বাধা দেওয়া যায় না। সঙ্গে বিদেশিদের একটা চাপ থাকে। এ জন্য আমরাও তাদের সাহায্য-সহযোগিতা বাড়াতে বলেছি। আর এটাও তো ঠিক, যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একটা জায়গায় আটকা।
গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নতুন সৃজিত উখিয়া ব্যাটালিয়নের (৬৪ বিজিবি) উদ্বোধনের পর এসব কথা বলেন তিনি।
কালের কণ্ঠ
গ্যাসসংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চাহিদামতো গ্যাস মিলছে না শিল্প-কারখানাগুলোতে। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ায় শিল্প-কারখানার পাশাপাশি সিএনজি স্টেশন, বিদ্যুৎকেন্দ্র, আবাসিক খাতসহ সব ক্ষেত্রে এখন গ্যাসের সংকট চলছে। শিল্পের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গ্যাসসংকটের কারণে তাঁদের উৎপাদন ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাসে কয়েক শ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
রপ্তানি আয় কমেছে। বিনিয়োগ থমকে আছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে না। শিল্প খাত না বাঁচলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে, তাই শিল্পের গ্যাস-বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে জোরালো উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তাঁরা।
যুগান্তর
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানায় নিয়মবহির্ভূতভাবে ঘুসের বিনিময়ে আসামিকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। এর নেপথ্যে রয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা। তাদের এই অপকর্ম তিন ধাপে সম্পন্ন করা হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে বেশ কয়েকজন দালাল। এতে অবৈধভাবে প্রতিদিন আয় হচ্ছে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা। পুরো ঘটনাটি আদালতপাড়ায় এক রকম ‘ওপেন সিক্রেট’। যা বছরের পর বছর ধরে চলছে। কিন্তু সবকিছু জানার পরও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন দপ্তরের অনিয়ম ও দুর্নীতি এই মুহূর্তে অনেকাংশে হ্রাস পেলেও গারদখানার এই অনিয়ম অব্যাহত আছে নির্বিঘ্নে। যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সমকাল
বিতর্কের খাতা খুললেন উপদেষ্টা ফারুকী
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোনো রকম কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে টাকা চাইতেন ফারুকী। এ রকম অনৈতিক আবদার মেটাতে মোটেও রাজি ছিলেন না প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক। এ কারণেই সৈয়দ জামিল আহমেদ স্বেচ্ছায় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন। এ পটভূমিতে উপদেষ্টা ফারুকী দাবি করেছেন, মহাপরিচালকের অভিযোগ সত্য নয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাত মাসের মাথায় এই প্রথম কোনো উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠল।
গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় নাট্যোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ জামিল আহমেদ আচকা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত সবাইকে চমকে দেন। তিনি মঞ্চে থাকাকালে শিল্পকলার সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে সরাসরি সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বিরুদ্ধে শিল্পকলা একাডেমিতে ‘অযাচিত হস্তক্ষেপের’ অভিযোগও তোলেন। সৈয়দ জামিলের পদত্যাগের ঘটনায় গতকাল শনিবার নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজন। তারা বলেছেন, উপদেষ্টা কেন টাকা চাইলেন, তা তদন্ত করতে হবে।
কালের কণ্ঠ
উপকূলের ৫২% মানুষের আয় পাঁচ হাজার টাকার নিচে
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে খুলনার উপকূলীয় এলাকার মানুষের আয় কমছে। জেলার কয়রা উপকূলের বাসিন্দাদের মধ্যে ৫২ শতাংশের মাসিক আয় পাঁচ হাজার টাকার নিচে। এর ফলে ওই এলাকার মানুষের সঞ্চয়ের সুযোগ তো দূরের কথা, ভবিষ্যৎ পথচলাও দুষ্কর হয়ে উঠছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কয়েকজন শিক্ষকের জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে।
খুবির আরবান অ্যান্ড রুরাল প্ল্যানিং ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সম্প্রতি জরিপটি পরিচালিত হয়। জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে নারী ও শিশুরা। বিশেষ করে অপরিকল্পিত আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগের সময় বেশি নাজেহাল হতে হয় তাদের।
যুগান্তর
এখনো বই পায়নি ২০ ভাগ শিক্ষার্থী
নতুন শিক্ষাবর্ষের দুই মাস পার হয়ে গেছে। অথচ এখনো সাত কোটির বেশি বই ছাপানো বাকি। অনেক শিক্ষার্থী পেয়েছে আংশিক বই। এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ কোটির বেশি বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এর মধ্যে ৩২ কোটির কিছু বেশি বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে গেছে। আর ৮ কোটির মতো বই এখনো প্রস্তুত হয়নি। এর সিংহভাগই মাধ্যমিক পর্যায়ের। সর্বশেষ প্রাথমিকের ৯ কোটি ২০ লাখ বইয়ের মধ্যে কিছু বই ছাড়া বাকিগুলো বিদ্যালয়ে পৌঁছে গেছে। আর মাধ্যমিকে ৩১ কোটি বইয়ের মধ্যে প্রায় ২২ কোটি বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠনের জন্য ছাড় হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শুক্রবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩২ কোটির বেশি বই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), যা শতকরা হিসাবে ৮০ ভাগ। যদিও পাঠানো সব বই এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছেনি। সেই হিসাবে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীরা এখনো বই পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে কাল থেকে পবিত্র রমজান শুরু হবে। অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে শ্রমিকরা চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন না। এছাড়া আসন্ন পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবসসহ টানা ৩৯ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে দেশের স্কুল-কলেজে। বৃহস্পতিবার স্কুলের শেষ ক্লাস ছিল। শুক্রবার থেকে এ ছুটি শুরু হয়। টানা ছুটি শেষে ৮ এপ্রিল থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে।
সমকাল
গত বছর প্রতিটি পেঁয়াজু ২-৩ টাকায় কেনা যেত। এবার দাম পড়বে ৬ থেকে ১০ টাকা। গত বছর ১০ টাকায় এক প্লেট ছোলা কিনে ইফতার করার সুযোগ ছিল, এবার গুনতে হবে ২০ টাকা। প্রতিটি বেগুনির দাম পড়বে ৬-১০ টাকা, যা গতবার ছিল ৩-৫ টাকা। একটি জিলাপির দাম পড়বে ১০-১৫ টাকা, গতবার যা ছিল ৬-৮ টাকা। এতদিন প্রতিটি বাংলা কলা ৮-১০ টাকায় কেনা যেত। দুই দিন আগে দাম বেড়ে ঠেকেছে ১৫-২০ টাকায়। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ইফতারের অন্যতম সামগ্রী মুড়ি, চিড়া, লেবু, শসা, কাঁচামরিচসহ বেশকিছু পণ্যের।
এর ফলে চিন্তায় পড়েছেন কম আয়ের মানুষ। তারা সাধারণত পেট ভরে ইফতার করেন। এ অবস্থায় ৫০ টাকার ইফতারেও পেট ভরবে না বলে আশঙ্কা করছেন দিনমজুরসহ নিম্ন-মধ্যবিত্তরা।
বণিক বার্তা
অপরাধ ও দুর্ঘটনার অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে মোটরসাইকেল
ঢাকার বনশ্রীতে নিজ বাসার সামনে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার। তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে আসা ছিনতাইকারীদের একটি দল গুলি ও ছুরিকাঘাত করে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ছিনতাইয়ের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
এক যুগলকে প্রকাশ্যে রামদা হাতে আঘাত করে চলেছে দুই ব্যক্তি, এমন আরেকটি ভিডিও সম্প্রতি যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় সংঘটিত ওই ঘটনার সূত্রপাত একদল কিশোরের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে। বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিবাদ করে ওই যুগল হামলার শিকার হন।
সমকাল
কোনো গাড়িতেই নেই ডিম, নামেমাত্র গরুর মাংস
রমজান উপলক্ষে ঢাকার ২৫টি এলাকায় গরু ও মুরগির মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এবার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছর দৈনিক প্রায় ৫ হাজার কেজি গরুর মাংস বিক্রি হলেও এবার বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১ হাজার কেজি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম দিনে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০০ কেজির মতো। গতকাল গরুর মাংস দেওয়া হয় ১ হাজার কেজির কম। অথচ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছিল, দৈনিক ২ হাজার ৫০০ কেজি মাংস দেওয়া হবে। পাশাপাশি এ বছর বিক্রয়কেন্দ্রের আওতা কমেছে। গত বছর রাজধানীর ৩০ এলাকা, পাঁচটি বাজারে সুলভ মূল্যে মাছ, দুধ, ডিম, মুরগি, গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে। এ বছর মাছও বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে গরু ও খাসির উচ্চ মূল্যের কারণে নিম্নবিত্ত মানুষের ভরসা ছিল ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র। গত বছর গরু ৬০০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গত বছর ৬ লাখ মানুষ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের সুবিধা পেয়েছেন।
সমকাল
এনসিপির লক্ষ্য দেশজুড়ে জনভিত্তি ও ভোট
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে সাংগঠনিক বিস্তার ঘটাতে চাইছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতাদের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ও নতুন সংবিধান প্রণয়নে গণপরিষদ নির্বাচন লক্ষ্য বললেও চলতি মাসেই জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে ভোটের মাঠে থাকবে এনসিপি। জনসমর্থন আদায়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ঘুষ ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান নেবে। ভারতীয় ‘আধিপত্যবাদ’বিরোধী স্বরও চড়া রাখবে। অব্যাহত রাখবে আওয়ামী লীগের প্রতি অনমনীয়তার নীতি।
কালবেলা
দেড়শ স্কুলকে কেউ ‘পছন্দ’ করেনি
সিলেট সদরের পশ্চিম সদর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে আসন রয়েছে ১ হাজার ৩২০টি। কিন্তু লটারি পদ্ধতিতে ভর্তির বেলায় এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে পছন্দ করেনি একজন শিক্ষার্থীও। একই জেলার সাহেবের বাজার হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১ হাজার ৪৫টি আসন থাকলেও কোনো শিক্ষার্থী এটিকে তাদের পছন্দক্রমে রাখেনি। এমন আরেকটি প্রতিষ্ঠান শেরপুর সদরের চরখার চর উচ্চ বিদ্যালয়। সেখানে ৬৬০টি আসন থাকলেও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় এটি নেই। তিন প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা লটারি পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না।
শুধু এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়, সারা দেশের ১৪৮টি বেসরকারি স্কুলে প্রায় ২৯ হাজার আসন থাকলেও কোনো শিক্ষার্থী এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য চয়েসই দেয়নি। শুধু উপজেলা বা জেলা পর্যায় নয়, খোদ রাজধানীর স্কুলও আছে এই তালিকায়। অন্যদিকে, সরাসরি ভর্তির ক্ষেত্রে নামকরা হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল, লটারি পদ্ধতিতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।
সমকাল
মহাসড়কে আতঙ্ক, ১৪৪৬ ডাকাত চিহ্নিত
সড়ক-মহাসড়কে ঘটছে ডাকাতি। ডাকাত ধরতে তালিকা তৈরি করেছে হাইওয়ে পুলিশ। তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৪৪৬ জনের ওপর নজর রাখছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা ও থানাকে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, তালিকাভুক্ত অধিকাংশ ব্যক্তি এর আগে ডাকাতিতে সম্পৃক্ত ছিল। জামিনে বেরিয়ে তাদের মধ্যে অনেকে আবার পুরোনো পেশায় জড়াচ্ছে। মহাসড়কে ঘটা ডাকাতির বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। রমজানে মহাসড়কের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে ফল পাওয়া যাবে বলে দাবি করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আজকের পত্রিকা
খেজুরে অতি মুনাফা, হতাশ ক্রেতা
রোজাদারদের ইফতারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কম হওয়া নিয়ে এবার যে প্রত্যাশা ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। আশা করা হচ্ছিল, আমদানি খরচ হ্রাস পাওয়া এবং গুটিকয়েক আমদানিকারকের সিন্ডিকেটের অবসান হওয়া–এই দুই কারণে খেজুরের দাম কম থাকবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, আমদানি বৃদ্ধি এবং সরকারের শুল্ক কমানো—কোনোটারই সুবিধা পাচ্ছে না ভোক্তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এখন বাজারে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে গত বছরের তুলনায় গড়ে খেজুরের দাম ১০ শতাংশ বেশি রয়েছে।
বণিক বার্তা
বরিশালে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন সংকট
বরিশালের হাসপাতালগুলোয় উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে কুকুর-বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর কামড়-আঁচড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। তাদের বেশির ভাগই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না পেয়ে হতাশ হচ্ছে। অনেকেই বাইরে থেকে বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনে আনছে। কেউ কেউ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিচ্ছে। এতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
সরকারিভাবে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালসহ বিভাগের ছয়টি জেলা শহর ও ৪২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া সিভিল সার্জন অফিসসহ বেসরকারি পর্যায়েও চিকিৎসা নিচ্ছে আক্রান্তরা। তবে চিকিৎসা মিললেও বরিশাল শহরে সরকারিভাবে ভ্যাকসিন পাওয়া যায় কেবল বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালে। অন্যত্র চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন বাইরে থেকে কিনে নিয়ে যেতে হয়। তবে সদর জেনারেল হাসপাতালেও মিলছে না পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর চিত্রও একই।
সমকাল
ব্যবসায়ী সেজে আমলার সাড়ে ৭ কোটি টাকা ঋণ
তিনি সরকারের আমলা। তবে সে তথ্য গোপন করে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে দুই ব্যাংক থেকে নিয়েছিলেন সাড়ে সাত কোটি টাকা ঋণ। কিন্তু ঋণের কিস্তি আর দেননি। সেই ঋণ সুদ-আসলে হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। ঋণখেলাপিকে খুঁজে পেতে হয়রান ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে জানতে পারে, তিনি আসলে ব্যবসায়ী নন, সরকারের আমলা। সেই কর্মকর্তা হলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-২) একরামুল হক চৌধুরী। পরে দুই ব্যাংক কর্তৃপক্ষই জনপ্রশাসন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এখন ওই কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কাজ থামিয়ে দিতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
এছাড়া রমজান থেকেই ভোটের মাঠ গোছাবে এনসিপি; ছাত্রদের নতুন দল / এনসিপির চ্যালেঞ্জও কম নয়; ছাত্রদের নতুন দল / সরকারের নিরপেক্ষতা ইস্যুতে সজাগ থাকবে বিএনপি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
