ঢামেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৩৩ দালালকে জেল-জরিমানা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগে ৩৩ দালালকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন ঢাকা জেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টা সারা দিনব্যাপী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, প্যাথলজি ব্লাড ব্যাংক ও জরুরি বিভাগ থেকে তাদের আটক করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও এনএসআই সদস্যরা।
যাদের বিভিন্ন মেয়াদি সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে তারা হলেন— ১। মাকসুদাকে ১ হাজার জরিমানা, ২। জোহরাকে ৪ মাস কারাদণ্ড এবং ৪ হাজার জরিমানা, ৩। হাজেরাকে ১৫ দিনের জেল, ৪। পারভীনকে ৭ দিনের জেল, ৫। মনোয়ারাকে ১৫ দিনের জেল, ৬। রোকেয়াকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড, ৭। শিমুকে ১ হাজার জরিমানা, ৮। শারমিনকে ১ মাসের জেল, ৯। রানুকে ৭ দিনের জেল, ১০। আকলিমাকে ৭ দিনের জেল, ১১। শাহীনকে ৩ মাসের জেল, ১২। জোসনাকে ১ মাসের জেল, ১৩। আঙ্গুরাকে ৭ দিনের জেল, ১৪। মরিয়মকে ১ হাজার জরিমানা, ১৫। আলেয়াকে ১৫ দিনের জেল, ১৬। আরিফাকে ১ মাস জেল, ১৭। রোকসানাকে ১ হাজার জরিমানা, ১৮। সূর্যাকে ১ মাস জেল, ১৯। রুমাকে ১৫ দিনের জেল, ২০। রাসেলকে ৩ মাস জেল, ২১। তানভীরকে ১ হাজার জরিমানা, ২২। মাহবুবকে ৩ মাস জেল, ২৩। আলম মির্জা ৩ মাস জেল ও ১ হাজার জরিমানা, ২৪। ওমরকে ৩ মাস জেল, ২৫। আব্দুস সোবহানকে ১ হাজার জরিমানা, ২৬। হাসানকে ১ মাসের জেল, ২৭। রিপনকে ১ মাসের জেল, ২৮। রিপন ঘোষককে ১ হাজার জরিমানা, ২৯। মাসুদকে ১ হাজার জরিমানা ও তিন মাস জেল, ৩০। আবু বক্করকে ১ হাজার জরিমানা, ৩১। রনি ইসলামকে ১ মাস জেল, ৩২। আব্দুল মালেককে ১ হাজার জরিমানা ১৫ দিনের জেল, ৩৩। রুবেলকে ১ হাজার জরিমানা ও ৩ মাসের জেল।
এসময় হাসপাতালের সরকারি ও দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মচারীসহ আরও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে সরকারি ও দৈনিক মজুর ভিত্তিতে কর্মচারীদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। রোগীর স্বজনদের কয়েকজনকে আটক করা হলে তাদের উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কেউই কথা বলেননি।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি হাসপাতালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করছি কীভাবে দালালমুক্ত করা যায়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া পুলিশ র্যাব সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আজকেও এনএসআই ও সেনাবাহিনী বেশ কয়েকজনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে।
হাসপাতালের বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা আমাদের এখানে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে অর্থাৎ ডেইলি বেসিকে কাজ করছেন তাদের আজকেই আমরা বাদ দিয়ে দেব। আর সরকারি চাকরিজীবী যারা রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। আপনার জানেন এর আগেও বেশ কয়েকবার অভিযান হয়েছে তাদের যে জরিমানা করা হয়েছে পরে তারা সেই একই কাজ করছে এটা তারা পেশা হিসেবে নিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছি এই অভিযানে আমাদের সমর্থন রয়েছে।
এসএএ/এমএ