‘এখনও নিশ্চিত হয়নি নারী-পুরুষের সম-অধিকার ও সমমর্যাদা’

বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত বলেছেন, এখনও নারী পুরুষের সম-অধিকার এবং সমমর্যাদা নিশ্চিত হয়নি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এমন একটি নতুন দেশ আমরা আশা করেছিলাম নারীরা তার অধিকার পাবে। অভ্যুত্থানে নারীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। সেখানে কোনো বিভাজন হয়নি এবং পোশাকের প্রশ্ন ওঠেনি। অথচ এখন নানা অজুহাতে নারীকে ঘরে বন্দি করার আয়োজন চলছে।
শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সীমা দত্ত বলেন, ৮ মার্চ নারীমুক্তির আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু আমরা দেখেছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্রীদের বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মবের শিকার হলেন। এই অন্যায় অনেক নারীর সঙ্গেই ঘটছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীর যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সারা দেশে নারীদের অবস্থা আমরা বুঝতেই পারছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন- ২০১৭ এ বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। পিতা-মাতা চাইলে বিশেষ পরিস্থিতিতে ১৮ এর কম বয়সে বিয়ে দিতে পারেন। নিরাপত্তার অভাবে বাবা-মায়েরা তার কন্যার লেখাপড়া বন্ধ করে বিয়ে দিচ্ছেন। ফলে মানুষ হিসেবে নারীর বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের সব প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে যেসব নারী কাজে নিযুক্ত আছেন তারা সম-মজুরি পাচ্ছেন না। কর্মস্থলে ডে কেয়ার সেন্টার, নিরাপদ কর্মপরিবেশ না থাকায় অনেক নারী কাজ ছাড়তে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন
সমাবেশে সংগঠনের অর্থ সম্পাদক তৌফিকা লিজার পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সুস্মিতা রায় সুপ্তি। তিনি বলেন, পাহাড় ও সমতলের আদিবাসী নারীরা গুম, খুন, অপহরণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এসব ঘটনায় অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের প্রক্রিয়া দৃশ্যমান নয়। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগের দাবি জানাই।
আরএইচটি/এমএন