ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি

ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল হুদা ফয়েজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম আবরার, শামসুদ্দোহা আশরাফী, লুৎফুর রহমান ফরায়জী, মোস্তফা কামাল, লোকমান হোসেন জাফরী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশে নারীসমাজের নিরাপত্তা নিয়ে আজ সচেতন মহল মাত্রই উদ্বিগ্ন। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ আমরা অতীতেও দেখিনি, বর্তমানেও অনুপস্থিত। অথচ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এবং তা প্রকাশ্যে দ্রুত কার্যকর করলে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, গত ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সমাজ উন্নয়নে অবদানের জন্য মুহিনকে (মোহনা) অদম্য নারী পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যিনি জন্মগতভাবে একজন পুরুষ ও রূপান্তরের মাধ্যমে নিজেকে নারী দাবি করেন। অথচ দেশে হাজারো নারী সামাজিক, পারিবারিক রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। একজন রূপান্তরকামীকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে এদেশের কোটি কোটি নারীকে অসম্মান করা হয়েছে। জেন্ডার সমতার নামে দেশে যে সমাজ ও ধর্মবিদ্বেষী মতবাদকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, তার পরিণাম ভালো হবে না। একজন ট্রান্সজেন্ডারকে নারী পুরস্কার দিয়ে সরকার এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে।
ওএফএ/জেডএস