মাগুরার শিশুটির জিসিএস লেভেল ৩-এ নেমে এসেছে : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রেস সেক্রেটারি জানান, ওই শিশুর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তার জিসিএস কমে লেভেল ৪ থেকে ৩-এ নেমে এসেছে। সিএমএইচের চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান প্রেস সেক্রেটারি।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন
এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন।
সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে রয়েছেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ ও থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, জিসিএস একটি স্কেল, যা রোগীর সচেতনতার মাত্রা বা চেতনার স্তর মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত মস্তিষ্কের আঘাত, স্ট্রোক বা অন্য কোনো নিউরোলজিক্যাল সমস্যার ক্ষেত্রে রোগীর প্রতিক্রিয়া নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
এনএম/এমজে