এটিআই ছাত্র-ছাত্রীদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় কাজ করছে
দেশের এটিআই (কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট) গুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের ৮ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, এটিআই শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এক সভায় কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের উচ্চশিক্ষার জন্য একটি স্বতন্ত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাকরি (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৫ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা বেতন স্কেলের গ্রেডভিত্তিক পরিচিত হওয়ার বিধান থাকায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১০ গ্রেড বা ২য় শ্রেণির গেজেটেড বিষয়টি উল্লেখ করে দাবি অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারির সুযোগ নেই।
প্রতিবছর নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সচিব পর্যায়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক সংকট দূর করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষক পদায়ন করা হয়েছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করা হবে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার কারিকুলাম ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে কার্যক্রমে কোনো সমস্যা থাকলে তা লিখিত আকারে পাঠালে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের জন্য পদ সংরক্ষণে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১০ গ্রেডের সমপরিমাণ বেতন মন্ত্রণালয় প্রত্যাশা করে কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সিলিং নির্ধারণ মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার বহির্ভূত।
এতে বলা হয়, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মাঠ সংযুক্তিতে ভাতা দেওয়ার বিষয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাঠ সংযুক্তিতে কীভাবে ও কি হারে ভাতা পান, তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের জন্য ফাউন্ডেশন কোর্সের বিষয়ে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দুই মাসব্যাপী ট্রেনিং মডিউল গঠনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
এসএইচআর/এমএ
