পোল্ট্রি খাতের সমস্যা সমাধানে সরকারের ইতিবাচক বার্তা

সারা দেশের পোল্ট্রি খাতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয়েছে। খামারিদের ঘোষিত ১০ দফা দাবির মধ্যে কিছু মেনে নিতে এবং কিছু দাবির ব্যাপারে গবেষণা চালানোর পক্ষেও মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (২০ এপ্রিল) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খামারিদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার।
ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, পোল্ট্রি খাতের বিভিন্ন পর্যায়ে সিন্ডিকেট, মুরগির বাচ্চা ও খাবারের বাড়তি দামসহ নানান অভিযোগে আগামী পহেলা মে থেকে সারা দেশে ডিম-মুরগির উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমরা দশ দফা দাবিও জানিয়েছি। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে আজ আমাদের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে খামারিদের সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে আমরা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছি। দাবিগুলোর মধ্যে পোল্ট্রি পণ্যের দাম নির্ধারণে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, কনট্রাক্ট ফার্মিং-এর ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং একটি স্বাধীন পোলট্রি মার্কেট রেগুলেটরি অথরিটি গঠনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তাদের দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেছে এবং সমস্যা সমাধানে আন্তরিক আগ্রহ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বৈঠকে আমাদের চলমান সংকট এবং খামারিদের ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। অধিদপ্তর আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তারা বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া, পোল্ট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার স্থিতিশীল করা এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তর এই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এমন আশ্বাসে ডিম-মুরগির উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনও আমাদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সারা দেশের খামারিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে জানানো হবে।
এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আগামী পহেলা মে থেকে দেশব্যাপী খামারিরা খামার বন্ধ করে দেবেন এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরএইচটি/এআইএস