ছুটির বাইরে দুই মাস বেশি থাকায় লঘুদণ্ড পেলেন কর্মকর্তা

অফিসে অনুপস্থিত থেকে ছুটির দুই মাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় লঘুদণ্ড পেয়েছেন বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মো. শরিফুর রহমান। শাস্তি হিসেবে তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সংযুক্তিতে বেতার প্রকাশনা দপ্তরে কর্মরত আছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ০৪-০৭-২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপনে তার (শরিফুর রহমান) অনুকূলে স্ত্রীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা দেওয়াসহ পারিবারিক প্রয়োজনে ০১-০৮-২০২৩ থেকে ৩১-০১-২০২৪ অথবা প্রকৃত ভ্রমণের তারিখ থেকে ৬ মাসের বহিঃবাংলাদেশ (যুক্তরাষ্ট্র) অর্জিত ছুটি মঞ্জুর করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার জন্য তার আবেদন অনুযায়ী তাকে ৩১-০৭-২০২৩ বাংলাদেশ বেতার থেকে অবমুক্ত করা হয়।
এ ছুটি শেষে ০১-০২-২০২৪ তারিখে তার কর্মস্থলে যোগদানের কথা থাকলেও তিনি কর্মস্থলে যোগদান না করে ০১-০৪-২০২৪ তারিখ কর্মস্থলে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি ০১-০২-২০২৪ থেকে ৩১-০৩-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভোগ করা ০২ দুই মাসের বহিঃবাংলাদেশ অর্জিত ছুটি ভূতাপেক্ষভাবে মঞ্জুরির জন্য আবেদন করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করার নিয়ম থাকা সত্ত্বেও তিনি তা না করে অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থান করায় বাংলাদেশ বেতার থেকে ১২-০৫-২০২৪ তারিখে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তার দেওয়া ব্যাখ্যার জবাব সন্তোষজনক হয়নি এবং তিনি অননুমোদিতভাবে বিদেশে অবস্থান করেছেন। এ কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ব্যক্তিগত শুনানিতে শরিফুর রহমান জানান, বিদেশে অবস্থানকালীন তার স্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় এবং পরবর্তীকালে তিনি যথাসময়ে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করতে পারেননি। বর্তমানে তিনি দেশে ফেরত এসে ০১-০৪-২০২৪ থেকে কর্মস্থলে যোগদান করেন। শুনানিতে তিনি এ অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে অনিচ্ছাকৃত অনুপস্থিতকালকে অর্জিত ছুটি হিসেবে মঞ্জুরির অনুরোধ করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার জবাব, শুনানি, লিখিত ও মৌখিক সাক্ষ্য, প্রসিকিউশন শুনানি এবং তথ্য-প্রমাণ ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত এ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, সে কারণে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। তিনি লঘুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য।
মো. শরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’ অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় বিধি মোতাবেক তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দেওয়া হলো। তিনি ভবিষ্যতে এর কোনো বকেয়া সুবিধা পাবেন না বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এসএইচআর/এমএ