অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের সামনে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মিছিল

অস্ট্রেলীয় কোম্পানি মোজাইক ব্র্যান্ডস লিমিটেড কর্তৃক বাংলাদেশের ২২টি গার্মেন্ট কারখানার অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে রাজধানীর প্রগতি সরণিতে অবস্থিত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের সামনে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা। একইসঙ্গে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেছেন তারা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতৃত্বে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশ নেন ২২টি গার্মেন্ট কারখানার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও প্রতিনিধিরা।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সহসভাপতি অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরী, শ্রমিক প্রতিনিধি মইন আহমেদ এবং নারী শ্রমিক প্রতিনিধি রিবন বেগম।
আরও পড়ুন
সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, মোজাইক ব্র্যান্ডসের প্রতারণামূলক ব্যবসার কারণে বাংলাদেশের ২২টি কারখানার শ্রমিকরা জীবন-জীবিকা হারানোর মুখে পড়েছেন। কোম্পানিটি দীর্ঘ তিন বছর ধরে অর্থ পরিশোধ না করায় ইতোমধ্যে জাস অ্যাপারেলস কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য কারখানাগুলোও বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দাবি করছি- অবিলম্বে মোজাইক ব্র্যান্ডসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হোক, পাওনা অর্থ ফেরত এনে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক এবং আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে প্রতারণার বিচার নিশ্চিত করা হোক।
সমাবেশ শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার ও শ্রমিক প্রতিনিধি আব্দুল মালেক অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত পাঁচ দফা দাবি হলো
১. মোজাইক ব্র্যান্ডসের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দেউলিয়া অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে ফৌজদারি তদন্ত শুরু।
২. জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. শ্রমিক ও কারখানাগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৪. আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার নিশ্চিত করা।
৫. শ্রমিকদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা পাওনা ফেরতের ব্যবস্থা গ্রহণ।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে ডেপুটি হাইকমিশনার শ্রমিক প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন, বিষয়টি নিয়ে যথাযথ তদারকি করা হবে। তবে এটি একটি জটিল আইনি প্রক্রিয়া হওয়ায় কিছু সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।
মোজাইক ব্র্যান্ডস কর্তৃক বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করায় বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কারখানা মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছে। শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা ও কারখানা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
এএইচআর/এমএসএ