১৬ বছরে ৩০০ কোটি টাকার ভর্তি বাণিজ্য

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
জাতীয় বাজেটের ১৫% স্বাস্থ্যে রাখার প্রস্তাব কমিশনের
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন বলেছে, জনমুখী, সহজলভ্য ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি সংবিধানে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আইনি অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন।
গতকাল সোমবার সকালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এখনো একটি ন্যায্য, মানবিক ও টেকসই স্বাস্থ্যব্যবস্থা গঠনের পথে দৃশ্যমান বাধাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। দুর্নীতি, সক্ষমতার ঘাটতি, ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং চিকিৎসাশিক্ষার নিম্নমান ভবিষ্যতের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠেছে। দেশের স্বাস্থ্য খাত আজ জটিল বাস্তবতার মুখোমুখি।
সমকাল
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ বিনামূল্যে
শতভাগ বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে সংবিধান সংশোধন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
যুগান্তর
আওয়ামী লীগের গডফাদাররা দেশের ভেতর-বাইরে বেশ সক্রিয়। চালাচ্ছেন নানা অপতৎপরতা। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নেতাকর্মীদের দিচ্ছেন বিভিন্ন দিকনির্দেশনা। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী একটি দেশে বসে নিয়মিতভাবে গোপন বৈঠকও করছেন তারা।
এমনকি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও নেতাকর্মীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছেন। উদ্দেশ্য-দেশকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করা। এক্ষেত্রে যে কোনো সময় বড় ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
কালের কণ্ঠ
প্রশ্নবিদ্ধ মামলা নেপথ্যে বাণিজ্য
রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিজি হাসপাতাল) নাক কান গলা বিভাগের চিকিৎসক হাসানুল হক নিপুন। শাহবাগ থানায় দায়ের করা প্রশ্নবিদ্ধ একটি মামলার তিনি আসামি। মুন্সীগঞ্জের ইসমাইল হোসেন মামলাটির বাদী। এজাহারে বাদী কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করেছেন।
তবে ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৫৫ দিন কারাবাস করেন নিরপরাধ এই চিকিৎসক।
চিকিৎসক নিপুনের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের মামলা করা হয়। পরে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সময় এবং মামলার এজাহারের বর্ণনা সম্পূর্ণ ভুয়া।
যুগান্তর
জেল ও জরিমানার বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ নামে নতুন বিধান প্রণয়ন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর খসড়া অনুযায়ী সাংবাদিকের পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা সরকার নিশ্চিত করবে। নিবর্তনমূলক কোনো আইনে তাকে গ্রেফতার করা যাবে না।
তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশের কারণে সাংবাদিককে কোনো ধরনের সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করা যাবে না। কেউ সহিংস আচরণ, হুমকি প্রদর্শন এবং হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সাংবাদিককে সংবাদের তথ্যসূত্র প্রকাশ করতে বাধ্য করা যাবে না।
সমকাল
সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে পাঠাতে বিধিমালা হচ্ছে
সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের বদলির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলে এক কর্মস্থলে কেউ আর দীর্ঘদিন থাকতে পারবেন না। এতে মাঠের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলা-উপজেলা প্রশাসনে বদলি করা যাবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব ওঠে। পর্যায়ক্রমে এই নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার ‘জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য গত ৩০ এপ্রিল আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সমকাল
স্বাধীনভাবে চলতে মামলামুক্ত হতে তৎপর হেফাজত
হেফাজতে ইসলামের গত শনিবারের ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে তোলা নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটির প্রধান লক্ষ্য মামলা থেকে মুক্তি। ইতোমধ্যে পাঁচ জেলায় ২২০ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। সরকার মামলা প্রত্যাহারে রাজি হলেও ধীরগতিতে নাখোশ হেফাজত নেতাদের ভাষ্য, মুক্তভাবে কার্যক্রম চালাতে মামলা থেকে মুক্তি জরুরি।
হেফাজতের আবেদনে ঢাকা জেলায় ৭৩ মামলার মধ্যে ৪৬টি প্রত্যাহারযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সরকারি কমিটির যাচাই-বাছাইয়ে। বাকি ২৭ মামলার যাচাই চলছে। নেতাদের ভাষ্য, ২০১৩ ও ২০২১ সালের সহিংসতার মামলা ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকার হেফাজতকে নিয়ন্ত্রণ করত। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মামলা প্রত্যাহার না হলে, নির্বাচনের সময়ে এই মামলাগুলো চাপের কারণ হতে পারে হেফাজতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জন্য। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারও হেফাজতকে নিয়ন্ত্রণে মামলাগুলো ব্যবহার করতে পারে।
মানবজমিন
আগস্টের পর শতাধিক কারখানা বন্ধ
গত বছরের আগস্ট মাসের পর প্রায় শতাধিক কারখানা স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে। এতে কাজ হারিয়েছেন ৬০ হাজারের অধিক শ্রমিক। অন্যদিকে দেশে অর্থনৈতিক সংকট সহ নানা উত্থান-পতনের মধ্যেও রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে নতুন নতুন কারখানাও চালু হয়েছে। এতে কর্মসংস্থানও বেড়েছে। তবে কারখানা বন্ধ ও খোলা শিল্পের কার্যক্রমের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে মনে করেন শিল্প উদ্যোক্তারা। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও শিল্প পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কারখানা বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে বৈশ্বিক অর্ডার কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের মূল্যস্ফীতি, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, অর্থ পরিশোধে বিলম্ব এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনসহ একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
প্রথম আলো
এবার এপ্রিলে গরম কম ছিল, কারণ কী
‘রোদির ঠ্যালায় শরীলডা পুড়ে যাচ্চে। তারপরও দুটো পয়সার জন্নি পরিশ্রম কচ্চি। তবে ভয় কচ্চে ককন আবার জ্বর-টর শুরু হয়ে যায়।’
কৃষিশ্রমিক রতন আলী খেতে কাজ করতে করতে এ কথা বলেছিলেন। না, রতন আলী সাম্প্রতিক গরম নিয়ে এ কথা বলেননি। প্রথম আলোতে গত বছরের (২০২৪) ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রতন আলী গরমে ওই কষ্টের কথা বলেছিলেন। ‘চুয়াডাঙ্গায় ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড’ শিরোনামে এ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। রতন তখন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি মাঠে খেতে কাজ করছিলেন।
কালবেলা
১৬ বছরে ৩০০ কোটি টাকার ভর্তি বাণিজ্য
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০০৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে ৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তি করা হয়, যা এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হওয়া মোট শিক্ষার্থীর সাড়ে ৪ শতাংশ। এর মাধ্যমে সংঘবদ্ধ একটি চক্র হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এ ভর্তি বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি, কয়েকজন সদস্য, অধ্যক্ষ, শাখা প্রধান, কয়েকজন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কালবেলার অনুসন্ধানে এবং ভর্তি সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভর্তি বাণিজ্য হয় প্রথম শ্রেণিতে। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতেও টাকার বিনিময়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এমনকি জেএসসি পরীক্ষার মেধাতালিকা ছাড়াই নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। সাধারণত জানুয়ারি মাসে ভর্তি কার্যক্রম চললেও, এসব নিয়মবহির্ভূত ভর্তি মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে গোপনে সম্পন্ন করা হতো। কালবেলার হাতে আসা ২০১৪ থেকে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন নথিতে দেখা যায়, বিগত সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে থাকা প্রায় সবাই ভর্তি বাণিজ্যের এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এছাড়া দেশের পথে খালেদা জিয়া / হিথ্রো বিমানবন্দরে আবেগঘন পরিবেশ বিদায় জানালেন তারেক রহমান; বিনামূল্যে দিতে হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা; ইইউ রাষ্ট্রদূত / নির্বাচনের সময় নিয়ে ইইউ থেকে চাপ নেই—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।